
Home যশোর জেলা / Jessore District > বেনাপোল বন্দরের অতীত ইতিহাস / History of Benapole land port
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99904 বার পড়া হয়েছে
বেনাপোল বন্দরের অতীত ইতিহাস / History of Benapole land port
স্থলবন্দরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তের বেনাপোল বন্দর। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর বেনাপোলে কাস্টম অফিস চালু হয়। সে সময় দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াতের বিষয়টিই শুধু কাস্টম কর্তৃপক্ষ দেখাশোনা করেতেন। দেশ স্বাধীনের পর ১৯৭২ সালের জুন মাসে আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে আমদানি-রফতানি কাজ শুরু হয়। এ সময় পাট মন্ত্রণালয় আমদানি-রফতানি কাজ তদারক করতেন। ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেনাপোল পরিদর্শন করেন। তিনি পাট মন্ত্রণালকে আমদানিকৃত পণ্য রাখার জন্য গুদাম নির্মাণের নির্দেশ দেন। ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত পাট মন্ত্রণালয়ের অবলুপ্ত ওয়ার হাউজিং কর্পোরেশন বেনাপোলে ১১টি পাকা গুদাম নির্মাণ করে। ১৯৮৪-৮৫ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরের দায়িত্ব নেয় মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। বেনাপোল ও যশোর উন্নয়ন পরিষদ ছাড়াও স্থানীয় সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশন ১৯৯০ সাল থেকে বেনাপোলকে পৃথক স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ঘোষণার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন আন্দোলন শুরু করে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে থেকে এই দাবি মেনে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। কিন্তু এই দাবিকে উপেক্ষা করে ১৯৯৭ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশের ১৮টি স্থলবন্দর নিয়ে ‘বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় মন্ত্রিপরিষদের সভায়। ২০০২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন সরকার সংসদে আইন পাসের মাধ্যমে ‘বাংলাদেশে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’ গঠন করে। যাহার প্রধান কার্যালয় ঢাকাতে। সেই থেকে ‘বাংলাদেশে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ’ বেনাপোল বন্দরের তদারক করছে। বর্তমানে দেশের ১৮টি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে যে পণ্য আমদানি হয় তার ৯০ শতাংশই বেনাপোল বন্দর দিয়ে আসে। ভারতের বড় বাণিজ্যকেন্দ্র কলকাতার সঙ্গে বেনাপোলের দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার হওয়ার কারণে আমদানিকারকরা বেনাপোল বন্দরই সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধার কারণে ব্যবহার করে।
বন্দর ব্যবহারকারীদের দাবি, বেনাপোলকে পৃথক স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠন করে এর সদর দপ্তর যশোর কিংবা বেনাপোলে প্রতিষ্ঠা।
তথ্য সূত্র :
জামাল হোসেন
বেনাপোল প্রতিনিধি।
তারিখ-০২/১২/১১।
মোবাঃ-০১৭১৩-০২৫৩৫৬
jamalbpl@gmail.com
সর্বশেষ আপডেট :
ডিসেম্বর ২০১১