
Home সাংবাদিক / Journalist > নাসিরুদ্দিন আহমদ / Nasiruddin Ahmed (1930)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99837 বার পড়া হয়েছে
নাসিরুদ্দিন আহমদ / Nasiruddin Ahmed (1930)
নাসিরুদ্দিন আহমদ
Nasiruddin Ahmed
Home District: Jessore, Abhaynagar
১৯৩০ সালের চৈত্র মাসে সাংবাদিক-কবি নাসিরুদ্দীন আহমদ ভারতের ২৪ পরগনা জেলার বাদুড়িয়া থানা শহরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা নাম মরহুম খেলাফৎ হোসেন একজন শিক্ষাবিদ। মরহুম খেলাফত হোসেন ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের স্কুল পরিদর্শক। মা জরিনা বেগম। তিনি অকৃত্রিম বন্ধু হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দ্দীর নামে নিজ জমিতে বালিকা বিদ্যালয় স্থাপন করেন। কবি নাসিরুদ্দীন কিশোর বয়স থেকেই কবিতা লেখা ও সংবাদিকতার প্রতি ঝুঁকে পড়েন। ১৯৪৭ সালে বাদুড়িয়া থানা শহর থেকেই মাসিক মুকুল নামে একটি পত্রিকা প্রকাশ করেন তিনি। কলিকাতা থেকে প্রকাশিত একটি সাপ্তাহিক পত্রিকায় সংবাদদাতা হিসেবে কাজ শুরু করেন।
১৯৫২ সালে ভারত থেকে স্বপরিবারে যশোর জেলার অভয়নগর থানার বাঘুটিয়া গ্রামে এসে বসবাস করেন এবং নওয়াপাড়ার পীর আব্দুল মজিদ শাহ এর সান্নিধ্যে পুণরায় মাসিক মুকুল পত্রিকায় প্রকাশ করতে থাকেন। ওই সময় থেকে ঢাকার সাপ্তাহিক ইত্তেফাক পত্রিকার সংবাদদাতা হিসেবে যোগদান করেন।
১৯৬০ সালে যশোর শহরের রেলগেট থেকে মুকুল প্রকাশ করতে থাকেন এবং প্রেসক্লাব যশোরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। ১৯৬৮ সালে রেলগেট থেকে সাপ্তাহিক গণদাবী নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। উক্ত পত্রিকায় স্বাধীনতার স্বপক্ষে লেখার কারণে ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তার পত্রিকার অফিস ও প্রেস পাকহানাদার বাহিনী ও তার দোসরা মিলে লুট করে এবং পুড়িয়ে দেয়। তিনি প্রাণভয়ে দেশের গ্রামাঞ্চলে পালিয়ে বেড়ান। তাঁর স্ত্রী স্বাধীনতা সংগ্রামে ভূমিকা রাখার কারণে পাক বাহিনীর রোষাণলে পড়েন। পাক হানাদারবাহিনী তার নামে হুলিয়া জারি করে। পরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাংবাদিক-কবি নাসিরুদ্দীন খুলনার রেলগেট থেকে আবার সাপ্তাহিক গণদাবী প্রকাশ করেন। ১৯৭০ সালে জুন মাসে এক অধ্যাদেশে দেশের সকল পত্র-পত্রিকার সঙ্গে সাপ্তাহিক গণদাবীও বন্ধ হয়ে যায়।
১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবর রহমান কবি নাসিরুদ্দীন আহমদের স্ত্রী বেগম আশরাফুন নেছাকে স্পেশালভাবে সাপ্তাহিক ছায়াপথ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশের নির্দেশ দেন। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কবি নাসিরুদ্দীন উক্ত ছায়াপথ পত্রিকার সম্পাদনা করেছেন।
সাংগ্রহ:
সিকদার খালিদ
সাংবাদিক