
Home সাংবাদিক / Journalist > আইয়ুব হোসেন / Ayub Hossain (1941-2006)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99899 বার পড়া হয়েছে
আইয়ুব হোসেন / Ayub Hossain (1941-2006)
আইয়ুব হোসেন
Ayub Hossain
Home District: Magura, Salikha
সাংবাদিক আইয়ুব হোসেন ১৯৪১ সালে তৎকালীন যশোর ও বর্তমান মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার হাটবাড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম আব্দুল জলিল বিশ্বাস। ১৯৫৮ সালে সাপ্তাহিক ইত্তেফাক ও সাপ্তাহিক জনতায় সংবাদ পাঠানোর মাধ্যমে ছাত্র জীবন থেকে সাংবাদিকতা শুরু হয়। ১৯৬০ সালে বুনাগাতী আমজাদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক, ১৯৬২ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক, ১৯৬৭ সালে যশোর এমএম কলেজ থেকে ডিগ্রি পাস করেন। ১৯৬৩ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। এরপর তিনি পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল)’র সাথে সম্পৃক্ত হন। ১৯৬৮ সাল থেকে ’৭১ সাল পর্যন্ত তিনি বুনাগাতী আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ওই সময় ভারতের রানাঘাট ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন রনাঙ্গণ সংবাদদাতা হিসেবে ভারত থেকে প্রকাশিত দিপক রায় চৌধুরী সম্পাদিত সাপ্তাহিক বাংলার ডাক নামক পত্রিকার সাথে সংশ্লিষ্ট হন। পশ্চিমবঙ্গ ও সীমান্তবর্তী এলাকায় ঘুরে সংবাদ সংগ্রহ করে সাপ্তাহিক বাংলার ডাকে পাঠাতেন। স্বাধীনতার স্বপক্ষে জনমত সৃষ্টির জন্য তিনি উল্লেখ্যযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭১ থেকে ’৮২ পর্যন্ত দৈনিক ইত্তেফাকের ঢাকা অফিস, মাগুরা ও যশোর অফিসে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে ইত্তেফাকের খুলনা অফিসের আবাসিক প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৮৬ সালে খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি একাধিকবার খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহসভাপতি ছিলেন। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০০৪ সালে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ‘সাংবাদিকের আত্মহত্যা’ নামে একটি বই লেখার ইচ্ছা পোষণ করেন। লেখার কাজ শুরু করলেও অসুস্থতার জন্য শেষ করতে পারেননি। ২০০৬ সালের ১০ মার্চ দৈনিক ইত্তেফাকে ‘খুলনা থেকে বানিশান্তা পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের দাবি’ শীর্ষক তার শেষ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। তিনি সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য আক্তার জাহান রুমা স্মৃতিপদকসহ বিভিন্ন পদক লাভ করেছেন।
সংগ্রহ:
সিকদার খালিদ
সাংবাদিক