
Home সাংবাদিক / Journalist > অশোক সেন / Ashok Sen (1952-2010)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99957 বার পড়া হয়েছে
অশোক সেন / Ashok Sen (1952-2010)
অশোক সেন
Ashok Sen
Home District: Jessore, Keshabpur
বিশিষ্ট সাংবাদিক অশোক সেন ১৯৫২ সালের ৩০ আগষ্ট যশোরের কেশবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম কালীপদ সেন এবং মায়ের নাম জয়া রানী সেন।
১৯৬৭ সালে তিনি কেশবপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৭২ সালে যশোর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে যশোর জেলা কমিনিস্ট পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত কমিনিস্ট পার্টির জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পার্টি বিভক্ত হলে তিনি সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে দেন। রাজনৈতিক জীবনে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় এবং স্বৈরাচর এরশাদ সরকারের সামরিক শাসনামলে তিনি কারা ভোগ করেছেন।
অশোক সেনের লেখালেখির হাতেখড়ি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ঠিকানার মাধ্যমে। ১৯৮৫ সালে তিনি দৈনিক কল্যাণের মাধ্যমে সাংবাদিকের কর্মময় জীবন শুরু করেন। ১৯৯১ সালে ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পান। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পদে তিনি দায়িত্ব নেন। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে তিনি শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
সমাজ উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন উদীচী, বাঁচতে শেখা, সচেতন নাগরিক কমিটি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রসহ আরো অনেক সংগঠনের সঙ্গে।
নির্লোভ, সৎ ও নিরহংকার এই মানুষটি একমাত্র ছেলে অর্ণব সেন পান্থ ও প্রিয়তমা স্ত্রী বেবী সেনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহীকে কাঁদিয়ে ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি সবাইকে ছেড়ে চলে যান।
সম্পাদনা :
বদরুদ্দোজা মাহমুদ তুহিন
সর্বশেষ আপডেট :
মার্চ ২০১২
১৯৬৭ সালে তিনি কেশবপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি পাশ করেন। ১৯৬৯ সালে যশোর সরকারী মাইকেল মধুসূদন কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৭২ সালে যশোর জেলা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে যশোর জেলা কমিনিস্ট পার্টির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮০ সাল থেকে ১৯৯৩ সাল পর্যন্ত তিনি অবিভক্ত কমিনিস্ট পার্টির জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পার্টি বিভক্ত হলে তিনি সক্রিয় রাজনীতি ছেড়ে দেন। রাজনৈতিক জীবনে বাঙালির মুক্তি সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা রাখার কারণে পঁচাত্তরের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সময় এবং স্বৈরাচর এরশাদ সরকারের সামরিক শাসনামলে তিনি কারা ভোগ করেছেন।
অশোক সেনের লেখালেখির হাতেখড়ি যশোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক ঠিকানার মাধ্যমে। ১৯৮৫ সালে তিনি দৈনিক কল্যাণের মাধ্যমে সাংবাদিকের কর্মময় জীবন শুরু করেন। ১৯৯১ সালে ভোরের কাগজের জেলা প্রতিনিধি হিসেবে জাতীয় পত্রিকায় কাজ করার সুযোগ পান। ১৯৯৮ সালে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি পদে তিনি দায়িত্ব নেন। প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে তিনি শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠায় তিনি ভূমিকা রেখেছেন।
সমাজ উন্নয়নে কাজ করেছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন উদীচী, বাঁচতে শেখা, সচেতন নাগরিক কমিটি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রসহ আরো অনেক সংগঠনের সঙ্গে।
নির্লোভ, সৎ ও নিরহংকার এই মানুষটি একমাত্র ছেলে অর্ণব সেন পান্থ ও প্রিয়তমা স্ত্রী বেবী সেনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহীকে কাঁদিয়ে ২০১০ সালের ৩ জানুয়ারি সবাইকে ছেড়ে চলে যান।
সম্পাদনা :
বদরুদ্দোজা মাহমুদ তুহিন
সর্বশেষ আপডেট :
মার্চ ২০১২