
Home সাংবাদিক / Journalist > শেখ মোস্তফা ফিরোজ / Sheikh Mustafa Feroz (1964)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100540 বার পড়া হয়েছে
শেখ মোস্তফা ফিরোজ / Sheikh Mustafa Feroz (1964)
শেখ মোস্তফা ফিরোজ
Sheikh Mustafa Feroz
Head of News
Bangala Vision Television
Home District: Jessore, Keshabpur
Sheikh Mustafa Feroz
Head of News
Bangala Vision Television
Home District: Jessore, Keshabpur

বিশিষ্ট সাংবাদিক শেখ মোস্তফা ফিরোজ (দিপু) ১৯৬৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মির্জানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা শেখ আব্দুল ওয়াদুদ ইয়ারপোর্ট ম্যানেজার ছিলেন। মা হোসনে আরা বেগম একজন গৃহিণী। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় স্থানে। বড় ভাই শেখ মোস্তফা ফারুক বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ছিলেন। একমাত্র বোন ফরিদা খানম জুলি যশোরে বসবাস করেন।
মোস্তফা ফিরোজ ১৯৮৬ সালের নভেম্বর মাসে সৈয়দপুরের মেয়ে ফারহানা ইয়াসমিন-এর সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। পারিবারিক জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
শিক্ষাজীবন:
ঢাকার তেজগাঁও স্টাফ ওয়েলফেয়ার হাইস্কুলে মোস্তফা ফিরোজের শিক্ষাজীবন শুরু হয়। এখানে ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। চাকরিজীবি পিতা ঢাকা হতে যশোর বিমান বন্দরে বদলি হলে তাঁকে যশোর ক্যান্টনমেন্ট দাউদ পাবলিক স্কুলের ভর্তি করা হয়। ১৯৮০ সালে এখান থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। এরপর বাবা এয়ারপোর্ট ম্যানেজার হিসেবে সৈয়দপুর বিমান বন্দরে বদলি হলে তাঁকে সৈয়দপুর কলেজে ভর্তি করা হয়। ১৯৮২ সালে তিনি এইচ.এস.সি পাশ করে স্নাতক পর্যায়ে পড়ালেখা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে। ১৯৮৮ সালে তিনি এখান থেকে সাংবাদিকতা বিষয়ে এম. এ ডিগ্রী লাভ করেন।
পেশাগত জীবন:
মাস্টার্স পড়াকালীন ১৯৮৬ সালে তিনি কিছুদিনের জন্য দৈনিক নব অভিযান নামক একটি পত্রিকায় সাংবাদিকতার চাকরি নেন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক দেশ নামে আর একটি পত্রিকায় প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় রির্পোটার এবং পরে স্টাফ রির্পোটার হিসেবে কাজ করেন তিনি। ১৯৯০ সালে আজকের কাগজ পত্রিকায় যোগ দেন। এখানে ৩/৪ মাস চাকরি করার পর ঐ বছরেই তিনি দৈনিক রূপালীতে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে দৈনিক রূপালী ছেড়ে বাংলাবাজার পত্রিকায় চাকরি নেন। ১৯৯৩ সালে আবার তিনি ভোরের কাগজ পত্রিকায় যোগ দেন। এখানে ২ বছর কাজ করার পর ১৯৯৫ সালে তিনি দৈনিক জনকণ্ঠে নিয়োগ পান। জনকণ্ঠে ৪ বছর চাকরি করার পর ১৯৯৭ সালে আবার তিনি ভোরের কাগজ পত্রিকায় যোগ দেন। এরপর সুযোগ আসে ইলেক্টট্রনিক্স মিডিয়াতে কাজ করার। ১৯৯৮ সালে একুশে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠাকালে এখানে বিশেষ সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালে সরকার একুশে টেলিভিশন বন্ধ করে দিলে এর এক বছর পর তিনি নতুন স্যাটেলাইট চ্যানেল এনটিভিতে তিনি নিয়োগ পান। ২০০৪ সালে বিশেষ সংবাদদাতা এবং পরে প্রধান প্রতিবেদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সেখানে। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী তারিখে তিনি এনটিভি হতে পদত্যাগ করে ঐ বছরের পহেলা জুলাই থেকে বাংলাভিশন টেলিভিশনের প্রধান বার্তাসম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব নেন। বর্তমানে তিনি এখানে হেড অব নিউজ হিসেবে দায়িত্বরত।
জনাব মোস্তফা ফিরোজ তাঁর সাংবাদিকতা জীবনে ওআইসি ও সার্ক সম্মেলনের মত ছোট বড় বেশ কয়েকটি সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সংবাদ সংগ্রহ করার সুযোগ পেয়েছেন। খুব কাছ থেকে দেখেছেন বিশ্ববরেণ্য নেতাদের।
স্বৈরশাসনের দশ বছর এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার নামে দুই বই রচনা করেছেন সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক তিনি।
যশোরের ভবদহ সমস্যার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় টেলিভিশনের পর্দায় তুলে ধরে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেষ্টা করেছেন। তাঁর হাত ধরে যশোরের অনেকেই বিভিন্ন টিভি মিডিয়াতে সাফল্যের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
সাক্ষাৎকার গ্রহণ ও সম্পাদনা :
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)
সহযোগিতায় :
আশরাফ দিপু
সর্বশেষ সম্পাদনা:
০১.০২.২০১২