
Home ক্রীড়াবিদ / Players > মাশরাফি বিন মর্তুজা / Mashrafee Bin Mortaza (1983)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 100184 বার পড়া হয়েছে
মাশরাফি বিন মর্তুজা / Mashrafee Bin Mortaza (1983)
মাশরাফি বিন মর্তুজা
Mashrafee Bin Mortaza
Home District: Narail

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও ডানহাতি ফাস্ট বোলার মাশরাফি বিন মর্তুজা (কৌশিক) ১৯৮৩ সালের ৫ অক্টোবর নড়াইল জেলার আলাদাৎপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা গোলাম মোর্তজা একজন ব্যবসায়ী। মাতা হামিদা মোর্তজা একজন গৃহিণী।
মাশরাফি ২০০৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবেশী সুমনা হক সুমিকে বিয়ে করেন।
শিক্ষাজীবন:
মাশরাফির শিক্ষাজীবন শুরু হয় নড়াইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে তিনি নড়াইল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস, এস, সি পাশ করেন। ২০০৩ সালে নড়াইল ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে এইস, এস, সি পাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে লেখাপড়া করেন।
ক্রিকেটার মাশরাফি :
ছোট বেলা হতে মাশরাফি খেলাধুলা করতেন। এজন্য তাকে অনেকবার পিতা-মাতার বকনিও খেতে হয়েছে। ক্রিকেট খেলার উপর তার আগ্রহ ছিল প্রবল। এসময় তিনি খুলনা লীগে অংশগ্রহণ করেন। খুলনা লীগ অনুর্ধ ১৭ তাকে জাতীয় পর্যায়ে খেলার সুযোগ করে দেয়। ২০০১ -২০০২ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট খেলার সুযোগ দেয়া হয় তাকে। আর এটাই ছিল তাঁর প্রথম আত্নপ্রকাশ। ২০০৩-০৪ সাল ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে অন্যদের চেয়ে ভাল করেন। প্রথম ইনিংসে ---- রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নিয়ে এভাবে বাংলাদেশকে সমুহ বিপদ হতে রক্ষা করেন। ২০০-- সালে এক ইনজুরির কারণে তিনি প্রায় ১ বছরেরও বেশী সময় টেস্ট ম্যাচ এর বাইরে ছিলেন। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত টেস্ট ক্ষেত্র বা বলয়ের বাইরে মাত্র সাতটি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ খেলেন। ২০০-- সালের শেষ দিকে তিনি আবারো ডাক পান এবং ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী সফরে খ্যাতি অর্জন করেন। এসময় তিনি তার সহ-খেলয়াড়দের চেয়ে অনেক ভাল করেন। কিন্তু হঠাৎ পিঠে আঘাত পেয়ে তিনি দ্রুত দেশে ফিরে আসতে বাধ্য হন। আর এর ফলে ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলতে পারেননি তিনি। এর নিয়ে ষষ্ঠ বারের মত পুরো সফর শেষ করতে ব্যর্থ হন তিনি। তবে ২০০৬ সালে অষ্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হতে ২০০৬ সালের -----। আবারো খেলায় ফিরে আসেন তিনি। ফতুল্লায় প্রথম টেস্টে তিনি প্রতিপক্ষ অষ্ট্রেলিয়া দলকে নাজেহাল করে ছাড়েন। তিনি আগস্টে কেনিয়ার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজে ৬টি ম্যাচের ১২টি উইকেট নিয়ে সিরিজে ৩-০ জয়ী হয়ে আফতাব আহম্মেদের জাতীয় রেকর্ড ভঙ্গেন। তবে অক্টোবর - নভেম্বরে তিনটি খেলায় মাত্র দুইটি উইকেট নিয়ে খুবই বাজে পারফরমেন্স দেখান তিনি। তবে এর পর ২০০৭ সালে এন্ড্রু মিলারে জিম্বাবুয়ে ও স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১ দিনের সিরিজে তিনি মারমুখী হয়ে উঠেন ও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেন। তিনি ২০০৩ ও ২০০৭ সালের দুটি ক্রিকেট বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন।
মাশরাফি বিন মোর্তাজা আরো দশজন উদীয়মান যুব পেইসম্যানদের নেতা হিসেবে উঠে এসেছেন। তবে তার কিছু সমস্যাও আছে। তিনি এ্যান্ডি রবার্টস এর অবিভাবকত্বে দৃড় পদক্ষেপে চলেছেন। তিনি আটুট মনোবল, শক্তি নিয়ে কাজ করেছেন। তার অধিকতর পছন্দের স্টাইলের মাধ্যমেই তিনি আক্রমণাত্বক ও রক্ষনভাগ উভয় ক্ষেত্রে তার পরদার্শিতার প্রমান রাখেন।
পছন্দ:
প্রিয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার। প্রিয় ফুল গোলাপ।
তথ্য সূত্র:
সাক্ষাৎকার
(হাবিব ইবনে মোস্তফা)
/
ক্রিক ইনফো.কম ওয়েবসাইট