
Home ক্রীড়াবিদ / Players > সৈয়দ রাসেল / Syed Rasel (1984)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 99997 বার পড়া হয়েছে
সৈয়দ রাসেল / Syed Rasel (1984)
সৈয়দ রাসেল
Syed Rasel
Home District: Jessore, Jhikargacha

বাহাতি ব্যাটসম্যান সৈয়দ রাসেল ১৯৮৪ সালের ৩ জুলাই ঝিকরগাছা থানার পারবাজার গ্রমে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম সৈয়দ আব্দুল আওয়াল এবং মাতার নাম রেখা পারভিন। সৈয়দ রাসেল দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে সবার বড়।
শিক্ষাজীবনঃ
সৈয়দ রাসেলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় ঝিকরগাছা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৯৯ সালে তিনি ঝিকরগাছা এম, এল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস, এস, সি পাশ করেন। ২০০৪ সালে তিনি ঝিকগাছা শহীদ মশিয়ুর রহমান ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচ, এস, সি পাশ করেন। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ’তে অধ্যয়নরত।
ক্রিকেটার রাসেলঃ
সৈয়দ রাসেল ছোট বেলা থেকেই বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সাথে জড়িত ছিলেন। ১৯৯৮ সালে এম, এল পাইলট হাইস্কুল থেকে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করেন। ১৯৯৯ সালে ঝিকরগাছা জাগরনী সংসদের পক্ষ থেকে যশোর যুব টিমে এবং আন্ত কলেজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন। এবছরেই খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়াম থেকে ডাক পড়ে। খুলনা বিভাগীয় টিমে খেলে তিনি অপরাজিত চাম্পিয়ন হয়। ২০০১ সালে অনুর্ধ ১৭ কাপ ক্রিকেট বাংলাদেশ টিমে খেলার জন্য ডাক পড়ে তার এবং স্টান্ডবাই খেলয়ার হিসেবে চান্স হয় তার। ২০০১ সালে ওয়াল্ড কাপ ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডে তার জাতীয় টিমে খেলার অভিষেক হয়। ২০০২ সালে খুলনা বিভাগীয় টিমে খেলার জন্য ডাক পান তিনি। অনুর্ধ ২৩ শে তিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলার জন্য সুযোগ হয় তার। ২০০২ সালে তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড মাইনর কান্ট্রিলীগ খেলার জন্য ইংলান্ড পাঠায়। ২০০৩ সালে বাংলাদেশ এ টিমের খেলার জন্য দুবাই ও জিম্বাবুয়ে সফর করেন। এসময় বিসিবি ডারউইন লীগ খেলার জন্য অস্ট্র্রেলিয়া পাঠায়। এ সময় বাংলাদেশ এ টিমের পক্ষে ইংল্যান্ড ট্যুরের জন্য ডাক পড়ে তার। তিনি ভাল খেলার পরিপ্রেক্ষিতে ইংল্যান্ড থাকাকালীন বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমে ডাক পড়ে। দেশে ফিরে বাংলাদেশ ন্যাশনাল টিমে খেলার জন্য শ্রীলঙ্কা টুরে যান। ২০০৫ সালে তিনি শ্রীলঙ্কায় অষ্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলেন। ২০০৫ সালের আগস্টে কেন্ট এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে খেলায় চাঞ্চল্যকর স্কেল বোলিং সৈয়দ রাসেলকে মাত্র ২১ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে সামনের ভাগে এনে দেয়। কেন্টেও সপ্তাহে অসুবিধাজনক সফরের সময় বিভিন্ন প্রতিকুলতাকে উপেক্ষা করে রাসেল প্রথম ইনিংসে ৫০ রানে ৭টি, ৯১ রানে ১০টি উইকেট হাতিয়ে নিয়ে প্রতিদ্বন্দী দলের রক্ষণভাগ তছনছ করে দেন তিনি। ম্যাচ জয়ের জন্য এটা যথেষ্ট ছিল না। তবে তাকে তাৎক্ষনিকভাবেই সিনিয়র গ্রুপে নেয়া হয়। ঐ বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কা সফরে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর সেখানে তিনি এক দিনের ম্যাচে প্রথম আত্নপ্রকাশ করেন তিনি। অনেকটা চামিন্দা ভাসের মতো বা হাতি বোলার। কলম্বোতে দ্বিতীয় টেস্টে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে তিনি ৮ উইকেট পান। এছাড়া ১শ ২৯ হয় তার দলের। তিনি পান ৪ টি উইকেট। আর ঐ ম্যাচেই এক ইনিংসে হারে। স্বদেশের মাটিতে তিনি এর প্রতিশোধ নেন বগুড়ায় ২৮ রান দিয়ে ছিনিয়ে নেন ২টি উইকেট পরের ফেব্রুয়ারীতেই। আর শ্রীলঙ্কা এই প্রথম বারের মত এক দিনের ম্যাচে হঠাৎ করে পড়ে যায়। নিজ জেলা খুলনায় বিভাগীয় ক্রিকেট খেলা থেকে উঠে আসা সৈয়দ রাসেলকে তার বোলিং নৈপুন্যের (বেলার হিসেবে) তার জন্য দল সহ অন্যান্য দক্ষ ও খ্যাতিমান খেলয়াড়দের থেকে নিজেকে আলাদাভাবে প্রতিষ্ঠিত করেন। অক্টোবর চাম্পিয়ানস ট্রফির আগে এক মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় পায়ে মারাত্বক আঘাত পান। তবে তাঁকে টুর্নামেন্টে খেলার যোগ্য ঘোষণা করা হয়। তিনি ডিসেম্বরে দেশে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে ৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ (ওডি আই ও ডি)র ৪ টিতে খেলতে পারেননি। তবে ২০০৭ সালে এ্যন্ডু মিলারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খেলে ভাল সাফল্য অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি ওয়াল্ডকাপ ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন।
পছন্দঃ
প্রিয় ক্রিকেটার ওয়াসীম আকরাম
প্রিয় ব্যক্তি হয়রত মুহাম্মদ (সঃ)
প্রিয় ফুল গোলাপ।
প্রিয় লেখক সমরেশ মজুমদার।
প্রিয় বই আট কুঠুরী নয় দরজা।
সাক্ষাৎকার গ্রহণেঃ
হাবিব ইবনে মোস্তফা
সম্পাদনাঃ
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল