
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > ফিরে দেখা -২০১২ বিদায়ী বছরে যশোরে ১১২ খুন
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89660 বার পড়া হয়েছে
ফিরে দেখা -২০১২ বিদায়ী বছরে যশোরে ১১২ খুন
বিদায়ী বছরে যশোর জেলায় খুন হয়েছে ১১২ জন। রাজনৈতিক কোন্দল, খাল-বিল দখল, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, ব্যক্তিগত আক্রোশ ও পক্ষ প্রতিপক্ষের হামলায় একের পর এক খুন হয় পক্ষ প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী, নিরিহ ও রাজনৈতিক ব্যক্তি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ২০১২ সালের গোটা ১২ মাসে তারা কেড়ে নিয়েছে ১১২টি তাজা প্রাণ। যার মধ্যে সদর উপজেলায় ৫৮ জন, চৌগাছা উপজেলায় ৪ জন, বাঘারপাড়া উপজেলায় ৭ জন, অভয়নগর উপজেলায় ৭ জন, মনিরামপুর উপজেলায় ১৪ জন শার্শা উপজেলা ১২ জন, কেশবপুর উপজেলায় ৪ জন ও ঝিকরগাছা উপজেলায় ৬ জন খুন হয়েছে। এদের মধ্যে গুলি ও বোমা মেরে ১৪ জন, কুপিয়ে ২০ জন, পিটিয়ে ২৬ জন, শ্বাসরুদ্ধ করে ২০ জন, আগুনে পুড়িয়ে ১ জন, গলাটিপে ১ জন, জবাই করে ১ জন, ধর্ষনের পর হত্যা ২ জন, ছুরিকাঘাতে ১২ জন ও বিভিন্ন ভাবে ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এ সব খুনের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মী রয়েছে ১৬ জন। যশোর সদর উপজেলায় ১ বছরে যারা খুন হয়েছে তাদের মধ্যে ৩ জানুয়ারী ঘোপ জেল রোডস্থ শিক্ষক প্রশিক্ষণ মহাবিদ্যালয়ের সামনে মনির হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গণধোলায়ের শিকার হয়ে মারা যায়। এভাবে ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যা রাতে শহরের রেলগেট মুজিব সড়কে শতকত হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে খুন করে তার বন্ধুরা, ৬ জানুয়ারী বিকালে শহর তলীর ঝুমঝুমপুরস্থ ময়লা খানা থেকে অজ্ঞাত (৩২) পরিচয়ের এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৯ জানুয়ারী সন্ধ্যা রাতে সেলিম (২৫) নামে এক ইজিবাইক চালককে জবাই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১০ জানুয়ারী রাতে বেজপাড়া কবরস্থান এলাকায় দেহ ব্যবসা করাতে বাধা দেওয়ায় শামিম নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৯ জানুয়ারী শহরতলীর খোলাডাঙ্গায় বোমা বানাতে গিয়ে সোহেল নামের এক সন্ত্রাসী নিহত হয়, ২৬ জানুয়ারী সকালে যশোর-নড়াইল বাসষ্টান্ডের পাশের একটি প্রাচীর ঘেরা ফাকা জমিতে শরিফুল ইসলাম (২০) নামে এক যুবককে ছুরকাঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৮ ফেব্র“য়ারী শহরের পুরাতন কসবা ঘোষপাড়া থেকে হুমায়ন কবির মামুন ওরফে হাতকাটা মামুন (৩৫) নামে এক সন্ত্রাসীর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৭ মার্চ রাতে শহরের শংকরপুর সার গোডাউনের পাশ থেকে অজ্ঞাত (৪৮) ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৩ মার্চ যশোর সদরের হৈবতপুরের নিশ্চিন্তপুর মেহগনি বাগান থেকে নাজমূল ইসলাম (২৫) নামে এক মটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৯ মার্চ সদরের হৈবতপুরের তীরেরহাট গ্রামে শালিশের নামে আব্দুর রহমান ওরফে আব্দুল (৩২) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১১ মার্চ প্রকাশ্য দিবালোকে যশোরের চাচড়া ডাল মিল এলাকায় আমিনুর রহমান বাপ্পী (২৭) নামে এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা, ২৭ মার্চ যশোর-নড়াইল সড়কের হামকুড়া ব্রিজের নিকট ডাকাতদের গুলিতে খুন হয় ইটভাড়া ম্যানেজার শাহিন রেজা, ৩০ এপিল রাতে সদরের ক্যান্টনমেন্ট ডেইরি ফার্মের পাশে ছিনতাই কারীদের হাতে খুন হন ইজিবাইক চালক শ্রী চন্দ্র দাস, ২৮ এপ্রিল রাতে যাশোর শহরের মাড়–য়া মন্দির সংলগ্ন পতিতালয়ে খুন হয় যৌন কর্মী হাসি খাতুন ওরফে চম্পা খাতুন, ২৮ এপ্রিল দুপুরে শহরের পুর্ব বারান্দি পাড়ায় জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হয় আশরাফুল ইসলাম নাম এক যুবক, ২৫ এপ্রিল শহরের চাচড়া রায়পাড়ার পিচ্চি হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা, ৮ এপ্রিল তরুনলীগ নেতা বাশি রিপন হত্যা মামাল আসামী আনোয়ার হোসেন (৪০) কে খুন কর প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা, ২ এপ্রিল রাতে সদরের কৃষ্ণবাটি গ্রামে দু’দল সন্ত্রাসীর ভয়াবহ বোমাবাজি ও বন্দুকযুদ্ধে সাইফুন ইসলাম মুরাদ নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়, ২১ মে নতুন হাটের মোড়ে বিএনপি কর্মী লিয়াকত হোসেনকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ২২ মে সকালে পুরাতন কসবা কর্মীপাড়া তেতুলতলা সংলগ্ন ভৈরব নদের পাশ থেকে যুবলীগ কর্মী রুহুল আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৫ জুন দুপুরে শহর তলীর শেখহাটি বাবলা তলায় ফাতেমা নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু হয়, ১ মে চৌকিপট্রির একটি চায়ের দোকানে চা পান করার সময় আনোয়ার হোসেন নামে এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৬ জুন সন্ধ্যায় পুলিশ লাইন মাদ্রাসার সামনে সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ ও বোমার আঘাতে নিহত হয় যুবলীগ নেতা তরিকুল ইসলাম, ১৫ জুন রাতে শহরের ঝুমঝুমপুর এলাকার বাসিন্দা বিজিবির সোর্স জিয়ারুল সরকারকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১৬ জুন রাতে রেল ষ্টেশন এলাকায় ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয় সুমন নামে এক যুবক, ১৯ জুন রাতে উপশহর আবাসিক এলাকায় দলীয় সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুর রহমান আকুল। ১৮ জুন সকালে মালঞ্চি গ্রামে আলিমুন নেছা (৭০) কে পিটিয়ে হত্যা করে নিজ সন্তান মোফাজ্জেল হোসেন, ২২ জুন রাতে রামনগরস্থ পিকনিক কর্নারের সামনে গুলি ও বোমা মেরে হত্যা করে স্বেচ্ছা সেবকলীগ নেতা ইদ্রিস আলীকে, ৮ জুলাই গভীর রাতে সদরের সুলতানপুর গ্রামে এক পাষন্ড স্বামী তার ৭ মাসের গর্ভবর্তী স্ত্রী সালমা খাতুনের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে, ২৯ জুন রাতে সদরের হৈবতপুরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে মামুন নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৬ জুলাই সন্ধ্যা রাতে হামিদপুর পেট্রোল পাম্পের পাশে জাহাঙ্গির (৪২) নামে এক প্রাইভেট চালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১৯ জুলাই গভীর শহরের বারান্দীপাড়ায় ছিনতাই কারীদের ছুরিকাঘাতে হায়দার আলী শেখ (৪৫) নামে এক ট্রাক চালক খুন হয়, ২৫ জুলাই সদরের কচুয়া গ্রামে জাকিয়া খাতুন নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু হয়, ৩০ জুলাই গভীর রাতে খড়কি কলাবাগান এলাকায় বোমা তৈরীকালে বিস্ফোরনে প্রদীপ নামে এক সন্ত্রাসী নিহত হয়, ৩ আগষ্ট গভীর রাতে সদরের শ্যামনগরে পারভীন আক্তার নামে গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৯ আগষ্ট রাতে শহরের বেজপাড়ায় কামরুল ইসলাম (৫০) নামে প্রাণ কোম্পানীর ডিষ্টিবিউটার কে ছুরিকাঘাত করে খুন করে সন্ত্রাসীরা, ১৩ আগষ্ট রাতে নরেন্দ্রপুর শেখপাড়ায় স্বামী পরিত্যক্ত রাবেয়াকে ধর্ষনের পর কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ২৩ আগষ্ট চাঁদার টাকা আনতে গিয়ে গণপিটুনির শিকার হয়ে নিহত হয় সদরের হৈবতপুরের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আকবার আলী মধু, ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যা রাতে উপশহর ডি-ব্লকে বেলাল হোসেন (১৮) নামে যুবককে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ২৪ আগষ্ট সন্ধ্যায় পুরাতন কসবায় জামাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবককে খুন করে সন্ত্রাসীরা, ১ সেপ্টেম্বর রাতে সদরের শ্যামনগর গ্রামে ছেলের শাবলের আঘাতে খুন হয় মা মঞ্জুয়ারা বেগম (৪০), ১২ সেপ্টেম্বর রাতে শংকরপুরে মেহেদী হাসান (২৬) নামে এক মুদি দোকানীকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়ায় বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১০ সেপ্টেম্বর রাতে সদরের এড়েন্দা দত্তপাড়া গ্রামে স্ত্রী রতœা রানী (২৩) কে হত্যা করে স্বামী উকিল, ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে সদরের ভাতুড়িয়া গ্রামে স্বামী ও শাশুড়ির পিটুনিতে নিহত হয় জেসমিন নামে এক গৃহবধু, ২১ সেপ্টেম্বর রাতে সদরের কৃষ্ণবাটি গ্রামে সন্ত্রাসীরা গুলি ও হাতুড়ি পেটা করে হত্যা করে মনির হোসেন (২৬) নামে এক যুবককে, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে শহরের সিটি কলেজ পাড়ায় ছিনতাই কারীদের হাতে খুন হয় সোহেল রানা (৩০) নামে এক যুবক, ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে সদরের চুড়ামন কাটি রেল লাইন থেকে নুরুজ্জামান ওরফে জামাল হোসেনের দ্বি-খন্ডিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ২৬ সেপ্টেম্বর রাতে শহরতলীর কচুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ মাহমুদ হোসেনের পুত্র প্রিন্স (৩০) সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রবিউল ইসলাম রঞ্জু ডাকাত প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে খুন হয়, ৯ অক্টোবর সকালে সদরের ভাতুড়িয়া গ্রাম থেকে হত্যার ১ মাস ৬ দিন পর তারা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ১২ অক্টোবর বিকালে সদরের কোদালিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে এক অজ্ঞাত যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ১৮ অক্টোবর সিটি প্লাজার মধ্যে শীর্ষ সন্ত্রাসী হাঁস সোহেলকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। ৮ ডিসেম্বর রাতে অভ্যান্তরিন কোন্দলের জের ধরে মুড়লি হুসতলায় লিয়াকত আলী (৪৫) নামে এক দূর্বৃত্তকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা, ১৫ ডিসেম্বর স্বামীর মারপিটে স্মৃতি বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সে সদরে হাকিমপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের স্ত্রী, ১৯ ডিসেম্বর যশোরের ষষ্টিতলায় মঞ্জু খাতুন নামে এক তরুনী গৃহ পরিচারিকাকে ধর্ষনের পর খুন করে দূর্বৃত্তরা। নিহত মঞ্জু সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের কাশেম মৃধার মেয়ে। ২৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যা রাতে শহরের লোন অফিস পাড়ায় সবুজ (২৪) নামে এক যুবককে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা। সে শহরের বারান্দি পাড়ার হাশেম আলীর ছেলে। এছাড়া চৌগাছা উপজেলায় ৪ খুনের মধ্যে ১৭ ফেব্র“য়ারী চৌগাছার বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের নুরজাহানকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৩ জুন রাতে চৌগাছার সাদীপুর গ্রামে ফুলসারা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হায়ন উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১১ জুলাই চৌগাছার গরীবপুর গ্রামের অপহৃত স্কুল ছাত্র সৌরভের (১০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ১৭ সেপ্টেম্বর চৌগাছার ইছাপুর বটতলায় নিজের বোমা বিষ্ফোরনে ইসরাইল নামে এক যুবক নিহত হয়। বাঘারপাড়া উপজেলায় ৭ খুনের মধ্যে ২ ফেব্র“য়ারী বাঘারপাড়ার খাজুরায় নাজমূল হোসেন (২৭) নামে এক যুবদল কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৭ জুন সাদরপুর গ্রামের পাটক্ষেত থেকে শহিদ (৩৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ১৬ মার্চ কিসমত মাহমুদুরপুর গ্রামে রোকসানা (১৩) নামে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়–য়া এক শিশুকে ধর্ষনের পর হত্যা করে ধর্ষকরা, ৭ জুলাই আন্ধার কোটা গ্রামের পাটক্ষেত থেকে এক মহিলার গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৬ জুলাই রাতে শিয়ালপুকুর বিলের একটি পাঠক্ষেত থেকে আজ্ঞাত এক যুবতীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ১১ আগষ্ট মোমেনা গ্রামে স্বামীর হাতে বিউটি খাতুন (২০) নামে এক গৃহবধূ খুন হয়, ১৩ আগষ্ট বাঘার পাড়ার খলসী গ্রামের একটি ধানক্ষেত থেকে ইমদাদুল ইসলাম (৩২) নামে যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। অভয়নগর উপজেলার ৭ খুনের মধ্যে ৭মার্চ অভয়নগর নওয়াপাড়ায় অজ্ঞাত এক মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৪ মে রাতে নওয়াপাড়া মডেল কলেজ রোডে নিজ বাড়ির সামনে সন্ত্রাসীরা বোমা মেরে হত্যা করে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে, ২ মে সকালে ভাত দিতে দেরি হওয়ায় ধোপাদী গ্রামের হালিম মোল্যা তার স্ত্রী আকলিমা বেগমকে ইট দিয়ে মেরে হত্যা করে, ৬ জুন ধুল গ্রামে বেবি আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যু হয়, ১৯ জুলাই রাতে ধোপাদী মোড়ে নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক শেখ লুৎফর রহমানকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১৭ সেপ্টেম্বর সিংগাড়ী গ্রাম থেকে এক অজ্ঞাত মহিলার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ৮ অক্টোবর দুপুরে অজ্ঞাত এক যুবতীকে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। মনিরামপুর উপজেলার ১৩ খুনের মধ্যে গত ২৯ জানুয়ারী প্রকাশ্য দিবালোকে পটবিলা গ্রামে জমি জমা সংক্রান্ত গোলাযোগের জের ধরে আপন চাচাত দু’ভাই বোনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা, ৫ ফেব্র“য়ারী সন্ধ্যায় শাহপুর গ্রামে রফিকুল ইসলাম (৩৮) নামে এক যুবককে জাবই করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৬ মার্চ রাতে হরিদাশ কাটিতে মটর সাইকেল ছিনতাই করে পালানোর সময় জনতার হাতে গণপিটুনীতে ২ ছিনতাইকারী নিহত হয়, ১৯ ফেব্র“য়ারী মধুপুর গ্রামে হীরা বেগম নামে এক মহিলা খুন হয়, ১৪ এপ্রিল ইস্তা গ্রামে কৃষক রেজাউল ইসলাম (৩৫) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি চক্র, ১৮ জুন বিকালে পাট গ্রামে রুমা (২০) নামে এক নববধূর রহস্য জনক মৃত্যু হয়, ২৩ মে চাকলা গ্রামে স্বামীর নির্যাতনে টুম্পা রানী (২২) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়, ২৮ জুন জালালপুর গ্রামে স্বামীর নির্যাতনে টুম্পা রানী (২২) নামে এক গৃহ বধুর মৃত্যু হয়, ৮ জুলাই একটি পাটক্ষেত থেকে নাসিমা (২৪) নামে এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ২০ জুলাই পটবিলা গ্রামে স্বামীর পরকীয়ায় বাধ সাধায় বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে স্ত্রী জাহানারা বেগমকে, ১২ আগষ্ট তারুয়া পাড়া গ্রামে যৌতুক না দেওয়ায় ৪ মাসের অন্তঃসত্তা স্ত্রী সুমতি রায় (২২) কে হত্যা করে স্বামী তাপস। ২৯ নভেম্বর রাতে শ্রী নদীর আগাড় থেকে হবিবার রহমান হবি নামে এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। র্শাশা উপজেলার ১২ খুনের মধ্যে ৩ জানুয়ারী পুটখালি গ্রামে পুটখালি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক (৪৭) কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ২৩ জানুয়ারী রাতে এসএস সি পরীক্ষার্থী মাসুম রেজা (১৬) কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ২৬ জানুয়ারী দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে বেনাপোল সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ড্রাইভার ফারুক (৩৩) কে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১০ জুন বেনাপোলে জমি জমা সংক্রান্ত গোলাযোগে চাচাত ভাইয়ের হাতে নিহত হন শহিদুল ইসলাম (২৭), ৬ জুন সকালে বেনাপোলের পুটখালি গ্রামে পান্না খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধুকে গলাটিপে হত্যা করে পাষন্ড স্বামী, ১৫ জুন সন্ধ্যায় কাশপুর বাজারে দৈনিক গ্রামের কাগজের সাংবাদিক জামাল উদ্দিনকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে মাদক ব্যবসায়ীরা, ২০ জুন শার্শার শালতা গ্রামে জেসমিন (২০) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী ও শাশুড়ি, ১৭ মার্চ গভীর রাতে বেনাপোলে নেশাখোর ছেলের হাতে পিতা আব্দুস সাত্তার (৬৫) খুন হয়, ১৫ জুলাই শার্শায় বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরিত বোমার শীর্ষ সন্ত্রাসী যুবলীগ নেতা মাহমুদ নিহত হয়, ১৭ মার্চ সকালে যৌতুকের দাবিতে বেনাপোলের ভবের বেড় গ্রামে বিথি বেগম (১৮) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে স্বামী রবিউল, ৩১ আগষ্ট উপজেলার দূর্গাপুর গ্রাম থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ, ১৭ সেপ্টেম্বর ভোরে বেনাপোলের পুটখালি সীমান্তের চরের মাঠ এলাকায় দু’গরু ব্যবসায়ীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইফুল নামে একজন নিহত হয়। কেশবপুর উপজেলার ৩ খুনের মধ্যে ১৫ জানুয়ারী রাতে ত্রিমহিনীতে ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ ওরফে বাবু (৩৮) কে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ৮ মে থানা পুলিশ হরিহর নদী থেকে এক অজ্ঞাত যবুকের লাশ উদ্ধার করে, ২৮ জুলাই সকালে বুড়ি হাটি গ্রামের একটি পুকুর থেকে দেবাংশু মন্ডল নামে এক ব্যক্তি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৪ ডিসেম্বর থানা কোয়ার্টারে পুলিশ কনেস্টেবল রফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী সুমি ইসলাম (২৫) কে পিটিয়ে হত্যা করে। এছাড়া ঝিকরগাছা উপজেলার ৬ খুনের মধ্যে ৮ জানুয়ারী বাবু নামে এক ইটভাটা শ্রমিকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়, ৬ জানুয়ারী ইস্তা গ্রামে পুত্র আক্তারুল কে বেধে রেখে খালেদা খাতুন (৪৫) কে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১ মার্চ রামনালী গ্রামে মিন্টু নামে এক যুবক খুন হয়, ২৫ মে গভীর রাতে বাকড়ার মাঠশিরা গ্রামে বিএনপি কর্মী আনারুল ইসলাম (৪৫) কে ঘরের মধ্যে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা, ১৮ জুন রাতে গণপিটুনিতে দুলু মিয়া (৪২) নামে এক মাছ চোর নিহত হয়, ২১ জুন মির্জাপুর গ্রামে স্ত্রী মিতু (২৩) কে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী মিলনকে।
সূত্র: যশোরনিউজ ২৪.কম