
Home উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা / High Ranking officers > নজরুল ইসলাম খান / Nazrul Islam Khan (1956) (Secretary)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89672 বার পড়া হয়েছে
নজরুল ইসলাম খান / Nazrul Islam Khan (1956) (Secretary)
সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
পারিবারিক
পরিচিতি:
মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব, পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান যশোরের কৃতি সন্তান। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিম নগর গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। বাবা মোঃ ইনসান আলী খান একজন ধনী কৃষক ছিলেন। মা আয়েশা খান ছিলেন গৃহিনী।
পিতা-মাতার সাত সন্তানের মধ্যে জনাব নজরুল ইসলাম খান দ্বিতীয় আর ভাইদের মধ্যে বড়। বড় বোন সুফিয়া খানম একটি সরকারী হাসপাতালের স্টাফ নার্স, ছোট বোন সাবিয়া খানম যশোর মুসলিম একাডেমীর শিক্ষিকা, দ্বিতীয় ভাই ইকবাল হোসেন খান --------- গ্যাস ফিল্ডে চাকরি করেন, তৃতীয় ভাই হুমায়ুন কবির খান নেদারল্যান্ডে থাকেন, চতুর্থ ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান খান --------------------------- এবং পঞ্চম ভাই শাহরিয়ার আলম কাবিল ---------------------------।
১৯৮৩ সালে নড়াইলের মেয়ে ফেরদৌস আরা খানের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। তিন কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা তাঁরা। বড় মেয়ে ফেডা খান ------------------------------------, মেজ মেয়ে ফরিয়া খান একজন আইনজীবী। তার স্বামী একজন চিকিৎসক। ছোট মেয়ে ফিয়োনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি. বি. এ. ফাইন আর্টস কলেজে পড়াশোনা করছেন।
শিক্ষাজীবন:
লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে। পরবর্তীতে যশোর শহরের মুসলিম একাডেমীতে পড়াশোনা করেছেন। আর ম্যাট্রিক পাশ করেন রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪ সালে তিনি যশোর সিটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯ ---- সালে।
পেশাগত জীবন:
১৯৮৪ সালে সরাসরি এ্যাডমিন ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে তিনি চাকরিজীবন শুরু করেন। প্রথম পোস্টিং হয় মাদারীপুরে সহকারী কমিশনার পদে। এখানে মাত্র ৯ মাস কাজ করার সুযোগ পান।
১৯৮৪-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন বছর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
১৯৮৮ সালে একই পদে ময়মনসিংহতে ছিলেন ৮ মাস।
১৯৮৯-১৯ ---- সালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমীতে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পান। বলতে গেলে এটি তাঁর হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেনিং-এর উপর পড়াশোনা করেছেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত সালে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে সাভার ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত একই পদে ঢাকায় বদলী হন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত ওএসডি ছিলেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সচিব-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- সালে হতে ১৯--- মান সময় পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সফল প্রশিক্ষক:
চাকরি জীবনে তাঁর উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে একজন সফল প্রশিক্ষক হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন। আর এই জন্যই তাঁকে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল প্রশিক্ষক হিসেবে আরও যোগ্যতা অর্জনের জন্য।
জনাব নজরুল ইসলাম খান শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকতার প্রতি তাঁর রয়েছে অগাধ ভালবাসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমনের মাধ্যমে কিছু শিখতে ও মানুষকে তা শেখাতে খুব পছন্দ করেন তিনি। বিশ্বের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি আর প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তাঁর। এ পর্যন্ত ৭০/৮০টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। যখন যে দেশে যান সেদেশের প্রতœতাত্ত্বিক জাদুঘর দেখেন। সে দেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেন। সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কেমন, মাইগ্রেশন কবে ও কিভাবে হলো ইত্যাদি জানার আগ্রহ তাঁর প্রবল। তিনি ডাক্তারদের একটি কোর্সে ট্রেনিং নিতে গিয়ে সেখানে পড়িয়েছেন এই বাঙ্গালী জাতীর উৎপত্তি সম্পর্কে। তাঁর টেনিং সকলেই করায় পরবর্তীতে তারা আবার জনাব খান’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রেনিং কোর্সে।
ইন্ডিয়ার গুজরাটে সেন্টার ফর এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং ট্রেনার বা লেকচারার তিনি। তাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠান এডিবিতে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। পিএটিতেও তিনি মাঝে মধ্যে এ ধরনের ট্রেনিং নিয়েছেন। তিনি এশিয়ান ডেভলপমেন্টের একটি প্রকল্পে ন্যাশনাল কনসাল্টটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন অনেক দিন।
যেহেতু তিনি উদ্ভাবনীমূলক কাজ করতে পছন্দ করেন, এই কারণে তিনি ইনোভেশন সম্পর্কেও পড়াতে পছন্দ করেন। ইউনাইটেড নেশনস এর ইনোভেশন সম্মেলনে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। ওর্য়াল্ড মোবাইল কংগ্রেস এর প্যানেল মেম্বারও ছিলেন তিনি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার:
জনাব নজরুল ইসলামের হাতেই গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের একসেস টু ইনফরমেশন। এটা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায়। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরী হয়েছে লারনিং আরনিং প্রকল্প। এখানে ২০ হাজারের অধিক মানুষকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় আছে আরও ২০ হাজার মানুষ। এর মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকদের প্রগ্রামিং শিক্ষাদানের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। হাইটেক পার্ক করেছেন সমগ্র বাংলাদেশে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন কাউন্সিল পরিষদকে তাঁরা মিনি ------ সেন্টারে তৈরী করতে চান। এসব তাঁরই উদ্ভাবিত ফরমুলা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে মানুষের যে বর্ধিত আয়ের সুযোগ হচ্ছে এর নাম দিয়েছেন তিনি “বাড়ী বসে বড়লোক”।
গ্রীণ টেকনোলজি নিজে কাজ:
জনাব নজরুল ইসলাম খান বর্তমানে গ্রীণ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদুৎ ও পানির মত দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের অপচয় রোধ করা। যেমন: আমাদের অধিকাংশ বাড়ীতে সরা রাত লাইট জ্বেলে রাখা হয়। এখানে প্রচুর বিদুৎতের অপচয় হয়। সরারাত লাইট জ্বেলে না রেখে কোন প্রাণীর প্রবেশ মাত্রই লাইট জ্বলে উঠবে। এমনি আবার অনেক বাড়ীতে দিনের বেলায়ও লাইট জ্বালানো থাকে। সুর্যের আলো বাড়ার সাথে সাথে ভেতরের লাইট কমে যাবে। এই সব সাশ্রয়কৃত বিদুৎ দিয়ে বহু বিদুৎহীন গ্রামে নুতন সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। এমনিভাবে পানি সাশ্রয়ও সম্ভব হবে। আর এর ফলে দিনে দিনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
উদ্ভাবনী কাজে অনুপ্রেণা:
দেশের যে কোন মানুষ যে কোন উদ্ভাবনী কাজ দেখাতে পারলে তাঁর দপ্তর থেকে আর্থিক অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তিনি মনে করেন এর ফলে এক সময় এদেশের তরুন বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবকেরা নতুন নতুন বিষয় উদ্বাধন করতে উৎসাহিত হবে এবং তাদের মেধার বিকাশ ঘটাবার সুযোগ পাবে। এছাড়াও দেশের উন্নয়নে আরও অনেক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গ্রন্থ রচনা:
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর হিসেবে মাত্র ১২ দিন কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাঁর। তিনি দেখেছেন জমি নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পায়। এখানে বিভিন্ন সমস্যা উপলব্ধি করে এবং তাঁর সহজ সমাধানের জন্য তিনি ভূমি আইন সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন। এটি খুব সহজভাবে সাধারণ মানুষের জন্য রচিত হয়েছে। মানুষ এর মাধ্যমে যথেষ্ট উপকৃত হবে বলে তিনি আশা করেন।
সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
তিনি অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। প্রাণী ও উদ্ভিদ হারিয়ে যাওয়ার রোধে ----------------------- নামে একটি সংগঠন কাজ করছে। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ট্রেনিং সোসাইটির আজীবন সদস্য এবং বোটানিক্যাল সোসাইটির সদস্য তিনি।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় থাকাকালিন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষার উপর তিনি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে রাস্তাঘাট সুন্দর রাখার জন্য তিনি কে আর এর গোল্ড মোডেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকার ও সম্পাদনা:
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)

মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক ব্যক্তিগত সচিব, পরবর্তীতে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব নজরুল ইসলাম খান যশোরের কৃতি সন্তান। ১৯৫৬ সালের ১ ডিসেম্বর যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার মশ্মিম নগর গ্রামে তাঁর জন্ম হয়। বাবা মোঃ ইনসান আলী খান একজন ধনী কৃষক ছিলেন। মা আয়েশা খান ছিলেন গৃহিনী।
পিতা-মাতার সাত সন্তানের মধ্যে জনাব নজরুল ইসলাম খান দ্বিতীয় আর ভাইদের মধ্যে বড়। বড় বোন সুফিয়া খানম একটি সরকারী হাসপাতালের স্টাফ নার্স, ছোট বোন সাবিয়া খানম যশোর মুসলিম একাডেমীর শিক্ষিকা, দ্বিতীয় ভাই ইকবাল হোসেন খান --------- গ্যাস ফিল্ডে চাকরি করেন, তৃতীয় ভাই হুমায়ুন কবির খান নেদারল্যান্ডে থাকেন, চতুর্থ ভাই মোঃ হাফিজুর রহমান খান --------------------------- এবং পঞ্চম ভাই শাহরিয়ার আলম কাবিল ---------------------------।
১৯৮৩ সালে নড়াইলের মেয়ে ফেরদৌস আরা খানের সাথে বিবাহসূত্রে আবদ্ধ হন। তিন কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা তাঁরা। বড় মেয়ে ফেডা খান ------------------------------------, মেজ মেয়ে ফরিয়া খান একজন আইনজীবী। তার স্বামী একজন চিকিৎসক। ছোট মেয়ে ফিয়োনা খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বি. বি. এ. ফাইন আর্টস কলেজে পড়াশোনা করছেন।
শিক্ষাজীবন:
লেখাপড়ার হাতে খড়ি হয় নিজ গ্রামের প্রাইমারী স্কুলে। পরবর্তীতে যশোর শহরের মুসলিম একাডেমীতে পড়াশোনা করেছেন। আর ম্যাট্রিক পাশ করেন রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় হতে ১৯৭২ সালে। ১৯৭৪ সালে তিনি যশোর সিটি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন। উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯ ---- সালে।
পেশাগত জীবন:
১৯৮৪ সালে সরাসরি এ্যাডমিন ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে তিনি চাকরিজীবন শুরু করেন। প্রথম পোস্টিং হয় মাদারীপুরে সহকারী কমিশনার পদে। এখানে মাত্র ৯ মাস কাজ করার সুযোগ পান।
১৯৮৪-১৯৮৭ সাল পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন বছর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতে উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
১৯৮৮ সালে একই পদে ময়মনসিংহতে ছিলেন ৮ মাস।
১৯৮৯-১৯ ---- সালে বিসিএস প্রশাসন একাডেমীতে সহকারী পরিচালকের দায়িত্ব পান। বলতে গেলে এটি তাঁর হাতে গড়া একটি প্রতিষ্ঠান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেনিং-এর উপর পড়াশোনা করেছেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত সালে ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসেবে সাভার ক্যান্টনমেন্টে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত রাজশাহীতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত একই পদে ঢাকায় বদলী হন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত বিরোধী দলের নেত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত ওএসডি ছিলেন।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ পান।
১৯ ---- ১৯ ---- সাল পর্যন্ত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সচিব-১ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯ ---- সালে হতে ১৯--- মান সময় পর্যন্ত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।
বর্তমানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সফল প্রশিক্ষক:
চাকরি জীবনে তাঁর উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে একজন সফল প্রশিক্ষক হিসেবে ব্যাপক সুনাম অর্জন। আর এই জন্যই তাঁকে ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছিল প্রশিক্ষক হিসেবে আরও যোগ্যতা অর্জনের জন্য।
জনাব নজরুল ইসলাম খান শিক্ষক হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু অবশেষে প্রশাসন ক্যাডারে চাকরি পান। তাই শিক্ষা ও শিক্ষকতার প্রতি তাঁর রয়েছে অগাধ ভালবাসা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমনের মাধ্যমে কিছু শিখতে ও মানুষকে তা শেখাতে খুব পছন্দ করেন তিনি। বিশ্বের ইতিহাস, ঐতিহ্য, প্রকৃতি আর প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে তাঁর। এ পর্যন্ত ৭০/৮০টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। যখন যে দেশে যান সেদেশের প্রতœতাত্ত্বিক জাদুঘর দেখেন। সে দেশের হাজার হাজার বছরের ইতিহাস জানার চেষ্টা করেন। সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রা কেমন, মাইগ্রেশন কবে ও কিভাবে হলো ইত্যাদি জানার আগ্রহ তাঁর প্রবল। তিনি ডাক্তারদের একটি কোর্সে ট্রেনিং নিতে গিয়ে সেখানে পড়িয়েছেন এই বাঙ্গালী জাতীর উৎপত্তি সম্পর্কে। তাঁর টেনিং সকলেই করায় পরবর্তীতে তারা আবার জনাব খান’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রেনিং কোর্সে।
ইন্ডিয়ার গুজরাটে সেন্টার ফর এডুকেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠানের ভিজিটিং ট্রেনার বা লেকচারার তিনি। তাদের বাৎসরিক অনুষ্ঠান এডিবিতে তিনি বক্তব্য দিয়েছিলেন। পিএটিতেও তিনি মাঝে মধ্যে এ ধরনের ট্রেনিং নিয়েছেন। তিনি এশিয়ান ডেভলপমেন্টের একটি প্রকল্পে ন্যাশনাল কনসাল্টটেন্ট হিসেবেও কাজ করেছেন অনেক দিন।
যেহেতু তিনি উদ্ভাবনীমূলক কাজ করতে পছন্দ করেন, এই কারণে তিনি ইনোভেশন সম্পর্কেও পড়াতে পছন্দ করেন। ইউনাইটেড নেশনস এর ইনোভেশন সম্মেলনে তিনি বক্তব্য দিয়েছেন। ওর্য়াল্ড মোবাইল কংগ্রেস এর প্যানেল মেম্বারও ছিলেন তিনি।
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার রূপকার:
জনাব নজরুল ইসলামের হাতেই গড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের একসেস টু ইনফরমেশন। এটা হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনায়। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরী হয়েছে লারনিং আরনিং প্রকল্প। এখানে ২০ হাজারের অধিক মানুষকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। পরিকল্পনায় আছে আরও ২০ হাজার মানুষ। এর মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষকদের প্রগ্রামিং শিক্ষাদানের মাধ্যমে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রগ্রামিং শেখানো হচ্ছে। হাইটেক পার্ক করেছেন সমগ্র বাংলাদেশে। দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন কাউন্সিল পরিষদকে তাঁরা মিনি ------ সেন্টারে তৈরী করতে চান। এসব তাঁরই উদ্ভাবিত ফরমুলা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগের ফলে কম্পিউটারের মাধ্যমে মানুষের যে বর্ধিত আয়ের সুযোগ হচ্ছে এর নাম দিয়েছেন তিনি “বাড়ী বসে বড়লোক”।
গ্রীণ টেকনোলজি নিজে কাজ:
জনাব নজরুল ইসলাম খান বর্তমানে গ্রীণ টেকনোলজি নিয়ে কাজ করছেন। উদ্দেশ্য হচ্ছে বিদুৎ ও পানির মত দেশের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদের অপচয় রোধ করা। যেমন: আমাদের অধিকাংশ বাড়ীতে সরা রাত লাইট জ্বেলে রাখা হয়। এখানে প্রচুর বিদুৎতের অপচয় হয়। সরারাত লাইট জ্বেলে না রেখে কোন প্রাণীর প্রবেশ মাত্রই লাইট জ্বলে উঠবে। এমনি আবার অনেক বাড়ীতে দিনের বেলায়ও লাইট জ্বালানো থাকে। সুর্যের আলো বাড়ার সাথে সাথে ভেতরের লাইট কমে যাবে। এই সব সাশ্রয়কৃত বিদুৎ দিয়ে বহু বিদুৎহীন গ্রামে নুতন সংযোগ দেয়া সম্ভব হবে। এমনিভাবে পানি সাশ্রয়ও সম্ভব হবে। আর এর ফলে দিনে দিনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।
উদ্ভাবনী কাজে অনুপ্রেণা:
দেশের যে কোন মানুষ যে কোন উদ্ভাবনী কাজ দেখাতে পারলে তাঁর দপ্তর থেকে আর্থিক অনুদান দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তিনি মনে করেন এর ফলে এক সময় এদেশের তরুন বিজ্ঞানী বা উদ্ভাবকেরা নতুন নতুন বিষয় উদ্বাধন করতে উৎসাহিত হবে এবং তাদের মেধার বিকাশ ঘটাবার সুযোগ পাবে। এছাড়াও দেশের উন্নয়নে আরও অনেক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
গ্রন্থ রচনা:
ভূমি জরিপ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর হিসেবে মাত্র ১২ দিন কাজ করার সুযোগ হয়েছে তাঁর। তিনি দেখেছেন জমি নিয়ে সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট পায়। এখানে বিভিন্ন সমস্যা উপলব্ধি করে এবং তাঁর সহজ সমাধানের জন্য তিনি ভূমি আইন সম্পর্কে একটি বই লিখেছেন। এটি খুব সহজভাবে সাধারণ মানুষের জন্য রচিত হয়েছে। মানুষ এর মাধ্যমে যথেষ্ট উপকৃত হবে বলে তিনি আশা করেন।
সাংগঠনিক কর্মকান্ড:
তিনি অনেক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছেন। প্রাণী ও উদ্ভিদ হারিয়ে যাওয়ার রোধে ----------------------- নামে একটি সংগঠন কাজ করছে। তিনি এই সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও ট্রেনিং সোসাইটির আজীবন সদস্য এবং বোটানিক্যাল সোসাইটির সদস্য তিনি।
পুরস্কার ও সম্মাননা:
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় থাকাকালিন প্রাথমিক ও গণ শিক্ষার উপর তিনি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে রাস্তাঘাট সুন্দর রাখার জন্য তিনি কে আর এর গোল্ড মোডেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকার ও সম্পাদনা:
মোঃ হাসানূজ্জামান (বিপুল)