
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোরের আলোচিত সংগঠন সন্দীপন - আপডেট চলছে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86633 বার পড়া হয়েছে
যশোরের আলোচিত সংগঠন সন্দীপন - আপডেট চলছে
প্রচার বমিুখ অধ্যাপক শরীফ স্যার আজ নেই, রয়েছে তার ¯^cœ ও কাজের ¯^vi
জিয়াউল হক ঃ সমাজের দুস্থ, নিপীত, অসহায় মানুষকে mvej¤^x করে তুলতে যে কটি সাজসেবামূলক সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান wbt¯^v_© কাজ করে যাচ্ছে সে গুলোর মধ্যে সন্দীপন’ অন্যতম। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বগিত ১৩ বছরে প্রচার বিমুখ এ প্রতিষ্ঠান অসংখ্য দারিদ্র নিপীড়িত জনগনকে আলোর পথ দেখাতে পালন করেছে অগ্রনী ভূমিকা। বর্তমানেও এ প্রতিষ্ঠান সুনামের সাথে তাদের কার্যক্রম অব্যাহক রেখেছে। শিশু ও কিশোরী নিকেতন (এতিমখানা), মেধা লালন সহায়তা কেন্দ্র, সূচী শল্পি, ঝরা পাতার আপন ঘর ¯^M„‡n এতিম পালন ও সন্দীপন ডে-কয়োর সেন্টারের মধ্যমা সংগঠনটি সমাজরে বঞ্চিতদের মাঝে আলোর পথ প্রদর্শন করছে।
সন্দীপন সৃষ্টরি ইতিকথা ঃ সন্দীপন নিয়ে এ লেখার শুরুতে শ্রদ্ধাভরে ¯^iY করছি এ প্রতিষ্ঠানটরি প্রতিষ্ঠাতা ও রূপকার মরহুম অধ্যাপক শরীফ স্যারকে। যদি শুধুমাত্র যশওরই নয় সারাদেশে এমনকি বর্হিবিশ্বেও ছিলেন বিশেষভাবে আলোচিত একজন শিক্ষা ব্যক্তিত্ব। যুগ পরিবর্তনের সাথে সাথে সমাজ যখন অন্ধকারের অতল গহবরে হারিয়ে যাচ্ছিল, যখন অন্যায়, দুর্নীতি সমাজকে আষ্টে পৃষ্ঠে বেধে ফেলেছিল, মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছিল, দুর্বলের উপর সবলের নির্যাতন । ঠিক তেমনি এক মুহুর্তে যশোরের কৃতি সন্তান, বিশিষ্ট শক্ষিাবিদ, সমাজ সেবক, রাজনীতিক ও বহু গুনে ¸bvwš^Z অধ্যক্ষ শরীফ হোসেন সমাজের সুবধিা বঞ্চিতদের নিয়ে নীরবে কাজ শুরু করেছিলেন। তাদের অধিকার আদায় ও সাবলম্বি করে তোলাই ছিল তার মূল লক্ষ্য। যতদূর জানা গেছে ছাত্র জীবন থেকেই তিনি এ মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। তবে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার লক্ষ্যে ১৯৯৪ সালে সন্দীপনের সৃষ্টি হয়। সে সময় শহরের খড়কীস্থ মা্ওলানা শাহ মওহাম্মদ আব্দুল করিম সড়কে অবস্থিত শরীফ স্যারের বাড়টি ছিল এর কার্যালয়। প্রতিষ্ঠালগ্নে এতিমখানা ও দুস্থ শশিুদরে মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দবোর লক্ষ্যে কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে শিক্ষা দান দিয়ে এ প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হলেও কালের আবর্তে তা আজ বহুমুখি একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিস্তার লাভ করেছে। পাশাপাশি এর কার্যক্রও ছড়িয়ে পড়েছে বসিতৃত অঞ্জল জুড়ে। শ্রদ্ধেয় শরীফ স্যারের ইন্তেকালৈর পর অনেকেই এ প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শংকতি হয়েছিলেন। কিন্তু যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য নিয়ে তিনি এ প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছিলেন এখনও পর্যন্ত সে ধারাতেই প্রতিষ্ঠানটিকে পরিচালিত করছেন তার যো্য উত্তরসূরীরা। এনকি এ প্রতিষ্ঠানটিকে বহুমুখি একটি সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠানে রুপ দিতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।
মেলা লালন সহায়তা কেন্দ্র ঃ দুস্থ ও দারিদ্র নিপীড়িত পরিবারের সন্তানদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে চালু করা হয় মেধা লালন সহায়তা কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠালগ্নে শুধুমাত্র যশোর কেন্দ্রীক এক কার্যক্র পরিচালিত হলেও বর্তমানে, খুলনা ও ঢাকা বিভাগে মোট ৫২টি শাখা রয়েছে। প্রতিটি শাখায় অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা কমপক্ষে ১৫জন গরীব শিশু কিশোরদেরকে সন্দীপনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ ফ্রি শিক্ষা দান করা হয়।
শিশু ও কিশোরী নিকেতন (এতমিখানা) ঃ সমাজের বরাবরই এতিম শিশুরা অবহেলিত ও বঞ্চিত। এ সমস্ত সুবধিা বঞ্চিত শিশুদেরকে সঠিকভাবে প্রতিপালন ও পরিচর্যার মহৎ দায়িত্ব কাধে তুলে নিয়েছিলেন প্রয়াত শরীফ স্যার। মূলত এতিমদের প্রতি ভালবাসা থেকেই শিশু ্ও কিশোরী নিকেতন প্রতিষ্ঠার অনুপ্রেরণা পান তিনি। বর্তমানে সন্দীপনের চারতলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়ে অবস্থিত এ নিকেতনে ৪৬ জন শিশু ও কিশোরী রয়েছে। যাদের বয়স চার থেকে ১৫ বছরের মধ্যে। এ সকল শিশু ও কিশোরীদের থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা সহ যাবতীয় জিনিসপত্রই সরবরাহ করা হয় সন্দীপনের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায়।
ঝরা পাতার আপন ঘর ঃ ¯^vgx পরিত্যক্ত, বিধবা মহিলাদের ¯^vej¤^x করে গড়ে তোলার জন্য ক্যাডিয়ান এসোসিয়েশন ফর বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় ও সন্দীপনের উদ্যোগে গড়ে তলো হয় এ শাখাটি। এ শাখায় দুস্থ ও অসহায় মহিলাদেরকে দর্জি প্রশিক্ষণ, হ্যান্ডিক্রাফটস, মেশিন এ্যামব্রয়ডারী, বস্ত্র, রং, মোমবাতি তৈরীর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ছয় মাস ব্যাপী এ প্রশিক্ষণ শিবিরে বর্তমানে সাতজন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। অভিজ্ঞ একজন ট্রেইনার দিয়ে এ সকল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ দেয়ার পাশাপাশি তাদের থাকা, খা্ওয়া, চিকিৎসা সহ সকল খরচই ক্যাবেডের মাধ্যমে সন্দীপন বহন করে।
দর্জি বজ্ঞিান প্রশিক্ষণ (সুচি শিল্প) ঃ নিঃস্ব ্ও দুস্থদের mvej¤^x করে গড়ে তলোর জন্য এ শাখা খোলা হয়। প্রথম দিকে স্থায়ী ক্যাম্প করে এর কার্যক্রম পরিচালিত হতো। এতে দূর- দূরান্তের শিক্ষার্থীরা প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারত না। এ চিন্তা থেকেই সর্বজন শ্রদ্ধেয় শরীফ স্যার এটকিে ভ্যাম্যমান প্রতিষ্ঠান হিসেবে রুপ দান করেন। প্রতি তিন মাস অন্তর এ ভ্যাম্যমান বিদ্যালয়টি প্রথক অঞ্চলে গিয়ে দুঃস্থ ্ও অসহায়দের সূচি শিল্পের উপর বনিামূল্যে প্রশিক্ষণ দান করে।
¯^M„‡n এতিম পালন ঃ শিশু ও কিশোরী নিকেতন জায়গা সংকটের কারণে অনকে এতিম অসহায় শিশুকে ইচ্ছা থাকা ¯^‡Ë¡I এ শাখার অন্তর্ভূক্ত করা সম্ভব হয়নি। ফলে ঐ সমস্ত শিশু কিশোরদেরকে তার নিজ গৃহে রেখে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। শিশু ও কিশোরী নিকেতনে পরবর্তীতে আসন খালি হলে ্ওই সকল এতিম শিশুদেরকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিকেতনে জায়গা দেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সন্দীপন ডে- কেয়ার সেন্টার ঃ সন্দীপনের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ ডে- কেয়ার সেন্টার। ঢাকার জগিাতলায় তিন তলা বিশিষ্ট একটি সুরম্য ভবনে এর অবস্থান। যে সকল মহিলারা বিভিন্ন বাড়ীতে ঠিকা কাজ করে তাদের সন্তানদেরকে সঠিক পরিচর্যা দেয়ায় এ ডে - কেয়ার সেন্টারের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে এখানে ৫০ জনকে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। তাদের থাকা খা্ওয়া ও পড়ালেখার খরচ বহন করে সন্দীপন। এছাড়াও এ ডে কয়োর সেন্টারে খুলনা অঞ্চলের ১৬ জন মেধাবী ছাত্রের ফ্রি থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। যারা এইচ এস সি পাাের পর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ঢাকায় কোচিং করার জন্য যেতে ইচ্ছুক কিন্তু আর্থিক সংকটের কারণে তা সম্ভবপর হয়ে ওঠে না মূলত তাদের জন্যই এ ব্যবস্থা। পাশাপাশি ঢাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া দরিদ্র রোগী ও তাদের ¯^Rb‡`iI এখানে ফ্রি থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। জীবদ্দশায় শরীফ স্যার এ ধরনের অসংখ্য সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রমরে সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি প্রচার বিমুখ হওয়ায় তা আজও অনেকেরই অজানা থেকে গেছে। এমনকি তিনি তার ঘনিষ্ঠ সহচরদের ক্েও সব বিষয়ে জানাতেন না বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম শরফি স্যার তার জীবনের অর্জিত সকল সম্পদের সংিহভাগই তিনি জনসেবামূলক কাজের পিছনে ব্যায় করে গেছেন। তার দেয়া সম্পতি ও বিভিন্ন ডোনারদের দেয়া অর্থ একত্রিত করে যশোর ইসলামী ব্যাংকের শাখায় গচ্ছিত রাখা হয়েছে। এ অর্থ দিয়েই পরিচালনা করা হয় সন্দীপনের সকল কার্যক্রম। এছাড়া সন্দীপনের উদ্যোগে একটি ছাত্রাবাস ও একটি ছাত্রীবাসও নির্মাণ করা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থও সন্দীপনের বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়।
শুরুতেই বলা হয়েছে শরীফ স্যার এ ধরনের অসংখ্য সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিলেন। কিন্তু এ ব্যাপারে তিনি প্রচার বিমুখ হওয়ায় তা আজও অনেকেরই অজানা থেকে গেছে। এনকি তিনি তার ঘনিষ্ঠ সহচরদেরকেও সব বিষয়ে জানাতনে না বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম শরীফ স্যার তার জীবনের অর্জতি সকল সম্পদের সংিহভাগই তিনি জনসেবামূলক কাজের পিছনে ব্যয় করে গেছেন। তার দেয়া সম্পতি ও বিভিন্ন ডোনারদের দেয়া অর্থ একত্রিত করে যশোর ইসলামী ব্যাংকের শাখায় গচ্ছিত রাখা হয়েছে। এ অর্থ দিয়েই পরিচালনা করা হয় সন্দীপনের সকল কার্যক্রম। এছাড়া সন্দীপনের উদ্যোগে একটি ছাত্রাবাসও নির্মান করা হয়েছে। এখান থেকে প্রাপ্ত অর্থও সন্দীপনের বিভিন্ন কার্যক্রমে ব্যয় করা হয়।
শুরুতেই বলা হয়েছে শরীফ স্যার ছিলেন প্রচার বিমুখ। তাই তিনি তার কার্যক্রমের কোন কিছুই সেভাবে লিপিবদ্ধ করে যাননি। প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে যে কাগজ পত্র তৈরী করা হয়েছে এবং তার সহচরদের কাছ থেকে প্রাপ্ত এ তথ্য জানা যায়। বর্তমানে সংগঠনটির হাল ধরে রেখেছেন সভাপতি তসলিম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সুলতান আহম্মদে, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. মুস্তাফজিুর রহমানসহ অন্যান্যরা। তারা প্রফেসর শরীফ হোসেনের ¯^‡cœi সন্দীপন বাঁচিয়ে রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সন্দীপনের মাধ্যমেই শরীফ স্যার যশোরবাসীল মাঝে বেচেঁ থাকবেন বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।