
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দু’টি মেছোবাঘ পিটিয়ে হত্যা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86589 বার পড়া হয়েছে
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় দু’টি মেছোবাঘ পিটিয়ে হত্যা
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় দুটি মেছোবাঘ পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বাঘ দুটি সোমবার বিকালে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়লে শৈলকুপা উপজেলার কৃপালপুরের গ্রামবাসী বাঘদু’টিকে পিটিয়ে হত্যা করে। কৃপালপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম জানান, বেশ কয়েকদিন ধরে তাদের এলাকায় মেছো বাঘের উৎপাত শুরু হয়।

লোকালয়ে ঢুকে বাড়ির মুরগি থেকে শুরু করে ছাগলের বাচ্চা খেয়ে ফেলে। সোমবার বিকালে প্রতিবেশী খায়রুল ইসলামের বাড়ির খড়ের গাদার পাশে তারা বাঘ দুটি দেখতে পায়। দেখা মাত্রই বাঘ দুইটি তাদের দিকে তেড়ে আসে। পরে গ্রামের মানুষ জোটবদ্ধ হয়ে বাঘ দুটি পিটিয়ে হত্যা করে। এ সময় বিপন্ন প্রজাতির মেছোবাঘ দুটি দেখতে এলাকার লোকজন ভিড় জমায়।
শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজমুল হক জানান, তিনি সারাদিন শৈলকুপায় ছিলেন না। তাই মেছোবাঘ হত্যার খবর তিনি জানেন না।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বারী জানান, মেছোবাঘ দুটি হত্যার সংবাদ পেয়ে তিনি বন বিভাগকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা যাননি। তিনি আরো জানান, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীকে যাতে কোন ঝামেলা পোহাতে না হয় সে অনুরোধ করেন।
এদিকে ২০১২ সাল ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছিল যেন মেছোবাঘ হত্যার বছর। বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ, শৈলকুপা, কোটচাঁদপুর, হরিণাকুন্ডু ও সদর থানায় ২২টি মেছোবাঘ পিটিয়ে হত্যা করে গ্রামবাসী।
এছাড়া কোটচাঁদপুরে ৭টি, কালীগঞ্জে ৪টি, হরিণাকুন্ডুতে ৩টি, শৈলকুপায় ৫টি ও সদর উপজেলায় ৩টি মোছোবাঘ পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা বন কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দীন মুকুল জানান, গ্রামবাসীর মাঝে সচেতনতার অভাবে এই বিপন্ন প্রাণী তাদের হাত থেকে বাঁচানো যাচ্ছে না। মোছোবাঘ দেখলেই গ্রামবাসী কৌতুহল ও অতিউৎসাহী হয়ে মেছোবাঘ হত্যা করছে বলে তিনি মনে করেন।