
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোরে ১ মাসে ১৫ খুন
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86716 বার পড়া হয়েছে
যশোরে ১ মাসে ১৫ খুন
যশোরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী চলতি বছরের প্রথম মাসে (জানুয়ারি) জেলার বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ রাউন্ড গুলি, অর্ধশত বোমা ও ককটেল এবং ৭টি ইয়ারগান উদ্ধার করেছে। একই মাসে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় খুন হয়েছে ১৫জন। এদের মধ্যে গণপিটুনী, বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় মারা গেছে কয়েকজন।
এছাড়া চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। সার্বিক অবস্থায় আইনশৃংখলা অন্যান্য মাসের চেয়ে গতমাসের উন্নত হয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসন দাবি করেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে পুলিশ. র্যাব, বিজিবিসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ রাউন্ড গুলি, অর্ধশত বোমা ও ককটেল এবং ৭টি ইয়ারগান উদ্ধার করেছে।
এরমধ্যে রয়েছে, ৬ জানুয়ারি বেনাপোল থেকে যশোর ডিবি পুলিশ ১টি সুটারগান ও ১ রাউন্ড গুলিসহ মেহের আলীকে আটক করে। ৭ জানুয়ারি বিজিবি বেনাপোলের পুটখালী থেকে মাসুদ হাসান রিপনকে ১ পিস্তলসহ ৪ রাউন্ডগুলিসহ আটক করে।
১৪ জানুয়ারি যশোর সদরের মণ্ডলগাতি এলাকার আশরাফ হোসেনের বাড়ির পাশ থেকে ২টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপরদিন ১৫ জানুয়ারি র্যাব ৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা যশোর বেনাপোল সড়কের নাভারণে বাসে তল্লাশি চালিয়ে ২টি শুটারগান ও ২ রাউন্ড গুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।
২৫ জানুয়ারি যশোর শহরের শংকরপুর এলাকা থেকে র্যাব সদস্যরা শ্রাবন রহমান নাসিরকে ১টি শুটারগান ও ১ রাউন্ড গুলিসহ আটক করে। ২৬ জানুয়ারি চাঁচড়া এলাকা থেকে ৫শ গ্রাম গান পাউডার ও ৯টি হাতবোমা উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে যশোর শহরের খোলাডাঙ্গা এলাকা থেকে ২টি বোমা উদ্ধার করে।
২৯ জানুয়ারি শংকরপুর বটতলা জামে মসজিদের পিছন থেকে ৭টি বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। একই দিনে শার্শার পুলিশ রাকিব হাসানকে ১টি শুটারগানসহ আটক করে।১ জানুয়ারি যশোর শহরের খয়েরতলা এলাকায় বাসে তল্লাশি চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮টি ইয়ারগান উদ্ধার করে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ২০১৩ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে জেলায় বিভিন্ন উপজেলায় ১৫জন খুন হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ৫ জানুয়ারি কেশবপুরের ভাল্লুকঘরে গণপিটুনীতে নিহত হয় আজিজুর রহমান। ৬ জানুয়ারি রাতে যশোর শহরের বারান্দী বাঁশতলায় দৃর্বুত্ত্বরা কুপিয়ে হত্যা করে শাহাবুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে। ১০ জানুয়ারি বেনাপোলের উত্তর বারোপোতায় বোমা তৈরির সময় রফিকুল ইসলামের মৃত্যু হয়। সন্ত্রাসীরা ১৯ জানুয়ারি মনিরামপুরে বরজেন আলীকে কুপিয়ে হত্যা করে। ২০ জানুয়ারি যশোর সদরের সুতীঘাটার বিলকিস নামে এক গৃহবধূকে স্বামী পুড়িয়ে হত্যা করে। ২১ জানুয়ারি মনিরামপুরের নাউলি এলাকার যশোর ডিসি অফিসের সুধাংশুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়। ২৬ জানুয়ারি কেশবপুরের মাগুরডাঙ্গায় পিটিয়ে হত্যা করে শফিকুল ইসলামকে। সর্বশেষ হত্যাকাণ্ড ঘটে ৩০ জানুয়ারি। এদিন যশোর সদরের দোলনঘাটায় ট্রাক ড্রাইভার শহিদুল ইসলাম এবং হেলপার সোহানকে হত্যা করে দুর্বৃত্ত্বরা।
এ ঘটনায় শহিদুল ইসলামের ভাই আল আমিন অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের নামে মামলা দায়ের করেন। এভাবে প্রত্যেক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হলেও আসামিদের তেমন আটক করা সম্ভব হয়নি।
দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, যশোরে বিভিন্ন উপজেলায় চুরি, ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনা ঘটে চলেছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা চালিয়েছে।
পুলিশও পাল্টা গুলি চালিয়েছে।এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতংক রয়েছে সর্বদা। এ ব্যাপারে যশোরের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন, যশোরে অন্যান্য যে কোন সময়ের চেয়ে বর্তমানে যশোরের সার্বিক আইনশৃংখলা অনেক উন্নত।
যশোর নিউজ ২৪