
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম বেহালদশায় পরিণত হয়েছে
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86644 বার পড়া হয়েছে
যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম বেহালদশায় পরিণত হয়েছে
যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। অযতœ ও অবহেলায় পড়ে থাকার কারণে আমেনা খাতুন গ্যালারি ভবনে ফাটল ধরেছে। মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বড় ঘাস গজিয়েছে, কাদা পানি জমে ডোবায় পরিণত হয়েছে। ক্রীড়া সংস্থার কোন কমিটি না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে ক্রীড়া ব্যক্তিরা মনে করেন। যশোরে একটি মাত্র স্টেডিয়াম শামস-উল-হুদা স্টেডিয়াম। এ স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখার কোন ভাল গ্যালারি ছিল না। ক্রীড়া সংস্থা সূত্র জানায়, ২০০৫ সালে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল আহাদ কোটি টাকা ব্যয়ে তার সহধর্মিণীর নামে আমেনা খাতুন গ্যালারি নির্মাণ করে দেন। বর্তমানে আমেনা খাতুন গ্যালারির বেহালদশা। অযতœ অবহেলার কারণে আমেনা খাতুন গ্যালারির পেছনের বেশ কিছু অংশে ফাটল ধরেছে। যে কোন সময় এটি ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা করছে ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। একই সাথে এ গ্যালারির বেশ কিছু চেয়ার ভেঙে গেছে। ফলে গ্যালারিতে বসে দর্শকরা খেলা দেখতে গিয়ে পড়ছেন সমস্যায়। এদিকে, স্টেডিয়ামের মাঠের করুণ অবস্থা। দীর্ঘদিন মাঠটি রক্ষণাবেক্ষণ না করার ফলে কাদা পানি জমে রয়েছে ও বড় বড় ঘাস গজিয়েছে। ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামের কাদা পানি, বড় বড় ঘাসের মাঠে চতুর্থ হ্যান্ডবল স্কুল প্রতিযোগিতার খেলা সম্পন্ন হয়েছে। ক্রীড়া সংস্থার কোন কমিটি না থাকায় এ অবস্থা বিরাজ করছে। ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব শফিকউজ্জামান বলেন, ক্রীড়া সংস্থার কোন কার্যকরী কমিটি নেই। কমিটি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ এখনো দায়িত্ব বুঝে পাননি। এ কারণে স্টেডিয়াম এক প্রকার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে। নবনির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক এবিএম আখতারুজ্জামান বলেন, যারা স্টেডিয়াম সব সময় দেখাশুনা করে। তাদের আমেনা খাতুন গ্যালারির ফাটল ধরা অংশে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। আর ফাটল ধরা গ্যালারি সংস্কারের ব্যাপারে ঢাকার জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাকে জানানো হয়েছে। মাঠের ব্যাপারে তিনি বলেন, বর্ষাকাল চলে গেলে মাঠের ঘাস কাটা হবে। তা না হলে এখন ঘাস কাটলে বর্ষা হলে বড় বড় ঘাস আবার গজাবে। এ ব্যাপারে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গ্যালারির ফাটল ধরার বিষয়টি আমি জানিনা। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।