
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > যশোরে ১৬ লক্ষাধিক মানুষ পাচ্ছে বিনামূল্যে ২৮ রকমের ওষুধ
এই পৃষ্ঠাটি মোট 84536 বার পড়া হয়েছে
যশোরে ১৬ লক্ষাধিক মানুষ পাচ্ছে বিনামূল্যে ২৮ রকমের ওষুধ
যশোর চৌগাছা উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের বৃদ্ধা ফুলসুরাত বেগম। কয়েকদিন ধরে সর্দি-জ্বরে ভুগছেন। নাতিকে সঙ্গে
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খান জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা ২৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বর্র্র্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেছে। জেলার আট উপজেলায় ২৫৮টি ক্লিনিক চালু আছে। প্রত্যেক ক্লিনিকে কমপক্ষে ছয় হাজার জনগোষ্ঠী উপকার পাচ্ছে। সেই হিসেবে জেলায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছে। প্রতিদিন এ ক্লিনিক থেকে ২৮ প্রকারের সরকারি ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
ডা. আতিকুর রহমান খান আরো বলেন, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কমিউনিটি ক্লিনিক ভূমিকা রাখায় সরকার যশোরে আরো ১৯টি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্লিনিকগুলো চালু হলে আরও লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সরকারি চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।
গ্রামীণ চিকিৎসা সেবার পরিবর্তনের বিষয়ে চৌগাছার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল কদর বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে গ্রামের অসহায় মানুষের উপকার হচ্ছে। ক্লিনিকে গিয়ে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রকমের ওষুধ পেয়ে খুশি। তবে প্রত্যেক ক্লিনিকে একজন করে ডাক্তার নিয়োগ দিলে সাধারণ মানুষ আরো বেশি উপকৃত হতো।
ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দীন ও আনারুল ইসলাম জানান, আগে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে ধর্ণা দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ক্লিনিক চালু হওয়ায় সরকারি ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিকমত অফিসে আসে না। অনেকই ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও বেশি আন্তরিক হলে সাধারণ মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।
নিয়ে এসেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে। কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার জসিম উদ্দীন তাকে তিন রকমের ওষুধ দিয়েছেন। এতে অনেক খুশি ফুলসুরাত বেগম। প্রতিদিন ফুলসুরাত বেগমের মত অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশি, শিশুদের টিকাদানসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিড় করেন। যশোরে ২৫৮টি কিমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে প্রায় ১৬ লাখ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পরিবর্তনের ছোঁয়া এসেছে। আরো ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এক সময় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার জন্য গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষকে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হতো। কিন্তু বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে বদলে গেছে সেই দৃশ্য। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন গ্রামের মানুষ রোগব্যাধির চিকিৎসাতে পাচ্ছে ২৮ প্রকারের ওষুধ। তবে কারো কারো অভিযোগ কিছু কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকে। আবার অনেক স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. আতিকুর রহমান খান জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে জেলা ২৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করা হয়। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর ক্লিনিকগুলো বন্ধ হয়ে যায়। বর্র্র্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ক্লিনিকগুলো আবার চালু করেছে। জেলার আট উপজেলায় ২৫৮টি ক্লিনিক চালু আছে। প্রত্যেক ক্লিনিকে কমপক্ষে ছয় হাজার জনগোষ্ঠী উপকার পাচ্ছে। সেই হিসেবে জেলায় ১৫ লাখ ৪৮ হাজার গ্রামীণ জনগোষ্ঠী চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছে। প্রতিদিন এ ক্লিনিক থেকে ২৮ প্রকারের সরকারি ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে।
ডা. আতিকুর রহমান খান আরো বলেন, তৃণমূল জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা কমিউনিটি ক্লিনিক ভূমিকা রাখায় সরকার যশোরে আরো ১৯টি ক্লিনিক স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ ক্লিনিকগুলো চালু হলে আরও লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রেণীর মানুষ সরকারি চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।
গ্রামীণ চিকিৎসা সেবার পরিবর্তনের বিষয়ে চৌগাছার স্বরুপদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরুল কদর বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে গ্রামের অসহায় মানুষের উপকার হচ্ছে। ক্লিনিকে গিয়ে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন রকমের ওষুধ পেয়ে খুশি। তবে প্রত্যেক ক্লিনিকে একজন করে ডাক্তার নিয়োগ দিলে সাধারণ মানুষ আরো বেশি উপকৃত হতো।
ঝিকরগাছা উপজেলার গঙ্গানন্দপুর গ্রামের বাসিন্দা সালাউদ্দীন ও আনারুল ইসলাম জানান, আগে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে ধর্ণা দিতে হতো। কিন্তু বর্তমানে ক্লিনিক চালু হওয়ায় সরকারি ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষ সুবিধা পাচ্ছে। তবে বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর্মীরা ঠিকমত অফিসে আসে না। অনেকই ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করে থাকে। স্বাস্থ্যকর্মীরা আরও বেশি আন্তরিক হলে সাধারণ মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে।
নিয়ে এসেছিলেন কমিউনিটি ক্লিনিকে। কমিউনিটি হেলথ প্রোভাইডার জসিম উদ্দীন তাকে তিন রকমের ওষুধ দিয়েছেন। এতে অনেক খুশি ফুলসুরাত বেগম। প্রতিদিন ফুলসুরাত বেগমের মত অনেকেই জ্বর, সর্দি, কাশি, শিশুদের টিকাদানসহ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিকে ভিড় করেন। যশোরে ২৫৮টি কিমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে প্রায় ১৬ লাখ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পরিবর্তনের ছোঁয়া এসেছে। আরো ১৯টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এক সময় প্রাথমিক চিকিৎসা সেবার জন্য গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষকে হাতুড়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হতো। কিন্তু বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক চালুর ফলে বদলে গেছে সেই দৃশ্য। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া প্রতিদিন গ্রামের মানুষ রোগব্যাধির চিকিৎসাতে পাচ্ছে ২৮ প্রকারের ওষুধ। তবে কারো কারো অভিযোগ কিছু কিছু কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ থাকে। আবার অনেক স্বাস্থ্য কর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি ওষুধ খোলা বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।