যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক বছরে ২ হাজার রোগীর মৃত্যু
যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত বছর ৩ লাখেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। এ সময় ২ হাজার ১৯ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৬৭৮ মহিলা রয়েছেন। শনিবার যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতালের বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক ডা. সালাউদ্দিন আহমেদ, নবাগত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্ল্যা, সহকারী পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ সাহা, ডা. কামরুল ইসলাম বেনু প্রমুখ। বিদায়ী তত্ত্বাবধায়ক জানান, ২০১২ সালে যশোর মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৬৮৫ রোগীর চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বহির্বিভাগ থেকে সর্বাধিক ২ লাখ ৬২ হাজার ৫৮৮ রোগীর চিকিৎসা দেয়া হয়। এছাড়া ইনডোরে ৪২ হাজার ৯৮০ ও ১৯ হাজার ১১৭ রোগীকে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, ১৮৬৭ সালে যশোরের তৎকালীন জমিদার কালীপদ ঘোষের প্রচেষ্টায় হাসপাতালটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৪১ সালে ১০ শয্যার হাসপাতালটি ৬২ সালে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। ২০০৩ সালে এটিকে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। ২০০৬ সালে করোনারি ইউনিট স্থাপনসহ এই হাসপাতালের সঙ্গে মেডিকেল কলেজ সম্পৃক্ত করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্টাফের ৩৬৭টি পদ থাকলেও কর্মরত রয়েছেন ২১৮ জন। ৪৯টি পদ এখনও শূন্য রয়েছে। তবে ১৬ জন চিকিৎসক ডেপুটেশনে আছেন। নবাগত তত্ত্বাবধায়ক ডা. ইয়াকুব আলী মোল্ল্যা বলেন, তিনি সরকারি এই চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে একটি আরবান মডেল হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তুলতে চান।