
Home দৃষ্টিপাত (Visibility) > জনসভায় কাজী নাবিল আহমেদের ঘোষণা : অচিরেই সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে যশোর পৌরসভা
এই পৃষ্ঠাটি মোট 84676 বার পড়া হয়েছে
জনসভায় কাজী নাবিল আহমেদের ঘোষণা : অচিরেই সিটি কর্পোরেশন হচ্ছে যশোর পৌরসভা
এমপি কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, খুব শিগগিরই যশোর পৌরসভা সিটি কর্পোরেশন হতে যাচ্ছে। আমি একাধিকবার সংসদে যশোর পৌরসভাকে সিটি কর্পোরেশন করার দাবি জানিয়েছি। তারই ধারাবাহিকতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের দাফতরিক কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগির আমরা এর সুফল পাব বলে আশা করছি।’
তিনি গত ২৫ নভেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের চিত্রা মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি আলী রেজা রাজু, সাবেক পৌর মেয়র কামরুজ্জামান চুন্নু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, হায়দার গণি খান পলাশ, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, জেলা যুবলীগ সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
এম.জামান কাকা, যশোর :
দ্রুত নগরায়ন হচ্ছে যশোরে। দেশের প্রথম সিটি কর্পোরেশন হওয়ার দাবিদার হলেও এখনো সেখানে নাম নেই ব্রিটিশ ভারতের প্রথম জেলাটির। এখন সময়ের ব্যাপার যশোরের সিটি কর্পোরেশন ঘোষনা। সরেজমিনে বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে দ্রুত্ই নির্মান কাজ চলছে। শহরের পালবাড়ি মুড়লী থেকে রাজারহাট, মুড়লী থেকে শঙ্করপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়ে চাঁচড়া ভায়া পুলেরহাট, চেকপোস্ট থেকে পালবাড়ি, পালবাড়ি থেকে চুড়ামনকাঠি পর্যন্ত শহর বিস্তার হচ্ছে অতি দ্রুত। শহরে পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবকাঠামোগত উন্নয়নে যথেস্ট পরিকল্পনা না থাকলেও ভবন ও মার্কেট নির্মানে আধুনিকতার ছাপ সুস্পষ্ট।
যশোর শহরের কেন্দ্রবিন্দু দড়াটানা থেকে দক্ষিনে চেকপোস্ট পর্যন্ত গত কয়েক বছরে ব্যাপক নির্মানগত পরিবর্তন চোখে পড়ার মত। পূর্ব পশ্চিম দুই ধারেই ফাঁকা জমি আগেই বিলীন হয়েছে। এখন সেখানে বহুতল মার্কেট ও আবাসিক স্থাপনা। বিশেষ করে প্রেসক্লাব যশোর এর সামনে থেকে চেকপোস্ট পর্যন্ত দ্রুতই পরিবর্তন হয়েছে। এনজিও সংস্থা জাগরনী চক্রের প্রধান কার্যালয় শহরের সৌন্দয্য বহু বাড়িয়েছে তা চোখ বুজে বলা যায়। রেলগেট থেকে দক্ষিনে তেতুলতলা, ডালমিল, আদর্শপাড়া (সাবেক চোরমারা দিঘীর দক্ষিন ও পশ্চিম পাড়) এলাকায় নির্মান কাজে আমূল পরিবর্তন হয়েছে এলাকাটিতে। এবছরের শুরুতে ধানের জমি থাকলেও এখন সেখানে বহুতল বিশিষ্ট ভবন দ্রুত নির্মান হচ্ছে।
যশোর মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রী কলেজের প্রফেসর জাহাঙ্গীর হোসেন নতুন ভবন নির্মান করছেন এই এলাকায়। তিনি জানান এলাকার পরিবেশ বসবাসের জন্য আদর্শের। সমস্যা বিদ্যুৎ ও ড্রেনেজ। ড্রেন নেই একই ভাবে বিদ্যুতের পিলার নেই। নইলে বিদ্যুৎ ব্যবস্থাও খারাপ নয়। অন্যান্য এলাকা থেকে লোডশেডিং এখানে অপেক্ষাকৃত অনেক কম।
পাঁচতলা ভবন নির্মান করছেন ব্যাংকার মন্টু। জানালেন পরিবেশ খারাপ নয় তবে অবকাঠামোগত উন্নয়নের ধারনক ড্রেন ও বিদ্যুতের পিলার স্থাপন জরুরি।
কন্সট্রাকশন ঠিকাদার বাকের হোসেন বলেন এত দ্রুত মাঠগুলো আবাসিক এলাকায় পরিনত হয়েছে কল্পনার বাইরে। তিনি এই এলাকায় কয়েকটি ৪/৫তলা ভবন নির্মান করছেন।
ইট বালি মাটি সরবরাহকারী জাহিদ হোসেন বলেন শহরের এই অংশ হঠাৎ ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এখানে এখন ব্যাপক ভাবে আবাসিক ভবন নির্মান হচ্ছে। তিনি এই পরিবর্তনে আশাবাদি। তার মতে জঙ্গল করেনা কারো মঙ্গল। আরেকজন ইট বালি ও মাটি সরবরাহকারী মোহাম্মদ আলী বাবু বলেন বিভিন্ন পেশার মানুষ এই এলাকায় আবাসন শুরু করেছে। হঠাৎ করেই ভবন নির্মানের ব্যস্ততা বেড়ে যাওয়ায় দ্রুত এলাকার ধানের জমি ভরাট হয়ে সেখানে ভবন নির্মান হচ্ছে। আবাসন এলাকায় কয়েকটি নতুন রাস্তা করা হয়েছে। তবে তার নামকরন যেমন হয়নি দু/একটি এখনো কাঁচা।। তবে ড্রেন নেই। ড্রেন ও বিদ্যুৎ পিলার স্থাপনের পাশাপাশি আরো কিছু পরিবর্তন প্রয়োজন।