
Home ভাষা ও সংস্কৃতি (Language and Culture) > যশোরে লোকসংস্কৃতি উৎসব সমাপ্ত
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89633 বার পড়া হয়েছে
যশোরে লোকসংস্কৃতি উৎসব সমাপ্ত
দেশের বরেণ্য শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় সমাপ্ত হয়েছে যশোর উদীচীর আয়োজনে তিন দিনব্যাপী লোকসংস্কৃতি উৎসব।
যশোরের হাজার হাজার সংগীতপ্রেমীকে উচ্ছ্বাস আর আনন্দের বন্যায় ভাসিয়ে গতকাল সমাপ্ত হয় এ উৎসব।
উৎসবের সমাপনী দিনে শুরুতে যশোর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে বিকেল চারটায় সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত ও উদীচীর সংগঠন সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর শুরু হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। আলোচনা করেন যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক এড. কাজী আব্দুস শহীদ লাল, গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি হাবীবুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর উদীচীর সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনু। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন রজিবুল ইসলাম।
আলোচকরা বলেন, লোকসংগীত আমাদের দেশের স্বাধিকার আন্দোলনসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আজ বিজাতীয় সংস্কৃতি শক্তির আগ্রাসনে বাঙালী সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা স্ববিরোধী কর্মকান্ড না করে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় মবিনুল ইসলাম মবিন বলেন, নোংরা রাজনীতির কারণে আমাদের নিজস্ব লোকসংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতিসহ নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলন শুধু শহরকেন্দ্রিক না করে গ্রামঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচনা শেষে স্থানীয় শিল্পীসহ ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, মাগুরা, নড়াইলের লোক ও বাউল শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এ দিনে ভারতের ভাস্মর রায়সহ চট্টগ্রামের দিলীপ বড়–য়া, মাগুরার অনিল হাজারিকা, যশোরের বাঘারপাড়ার পপি সরকার, আশা, বিজন দেবনাথ ও ঝিকরগাছা বাঁকড়ার শিশু রাসেল সংগীত পরিবেশন করেন। তারা বিজয় সরকার, পাগলা কানাই, হাসন রাজা, জারি-সারিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। যশোরের উদীচী ও ঢাকার উদীচী সাপুড়িয়া, পাহাড়ী ও লোকনৃত্য পরিবেশন করে।
এছাড়া নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ যুব সংঘ বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা প্রদর্শন করে। শেষে নড়াইলের দিদারুল ও নিলুফা বয়াতির দল জারি গান পরিবেশন করেন।
আবহমান বাংলার মানুষের মাটির টানের প্রাণের গান শুনতে শুনতে ষাটোর্ধ্ব শ্রমজীবী জহুর আলী আবেগময় কন্ঠে বলে উঠলেন, ‘মনডা জুড়ায়া গেল’। এ সময় তিনি আরো বলেন, একটানা তিন দিন ধরে এমন গান অনেক কাল শোনা হয়নি।
এমন আবেগময় উচ্ছ্বাস নিয়ে একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন কলেজ পড়ুয়া আল মাছুম, সোহেল, কৃষ্ণেন্দু, ব্যবসায়ী সোহরাব, গৃহিনী রেবেকা খাতুন প্রমুখ।
উৎসবের সমাপনী দিনেও ভারতের খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী অংশুমান রায়ের ছেলে ভাস্মর রায় তার বাবার গাওয়া গান শুনিয়ে দর্শকশ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। একে একে তিনি গেয়ে চলেন ‘দাদা পায়ে পড়িরে মেলা থেকে বউ এনে দে..’ এমন ধরনের বিখ্যাত প্রচলিত লোকসংগীত। গভীর রাত পর্যন্ত চলা গান মন্ত্রমুগ্ধের মত শোনেন মাঠ ভর্তি দর্শক।
এদিকে এ উৎসব সফল হওয়ায় যশোরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উৎসব পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডি এম শাহিদুজ্জামান। তালুকদার গ্রুপের সহযোগিতায় উৎসবমুখর এমন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে মাছরাঙা টেলিভিশন ও যশোরের সিটি ক্যাবল।
নিউজ সূত্রঃ গ্রামের কাগজ

উৎসবের সমাপনী দিনে শুরুতে যশোর টাউন হল ময়দানের রওশন আলী মঞ্চে বিকেল চারটায় সমবেতভাবে জাতীয় সংগীত ও উদীচীর সংগঠন সংগীত পরিবেশিত হয়। এরপর শুরু হয় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা। আলোচনা করেন যশোর ইন্সটিটিউটের সাধারণ সম্পাদক শেখ রবিউল আলম, উৎসব উদযাপন পর্ষদের আহবায়ক এড. কাজী আব্দুস শহীদ লাল, গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি হাবীবুল আলম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যশোর উদীচীর সহসভাপতি মাহবুবুর রহমান মজনু। উৎসবের ঘোষণাপত্র পাঠ করেন রজিবুল ইসলাম।
আলোচকরা বলেন, লোকসংগীত আমাদের দেশের স্বাধিকার আন্দোলনসহ সকল প্রগতিশীল আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু আজ বিজাতীয় সংস্কৃতি শক্তির আগ্রাসনে বাঙালী সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে। বক্তারা স্ববিরোধী কর্মকান্ড না করে দেশীয় সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান।
আলোচনা সভায় মবিনুল ইসলাম মবিন বলেন, নোংরা রাজনীতির কারণে আমাদের নিজস্ব লোকসংস্কৃতি হারিয়ে যেতে বসেছে। তাই হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতিসহ নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলন শুধু শহরকেন্দ্রিক না করে গ্রামঞ্চলে ছড়িয়ে দিতে হবে।
আলোচনা শেষে স্থানীয় শিল্পীসহ ঝিনাইদহ, চট্টগ্রাম, মাগুরা, নড়াইলের লোক ও বাউল শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। এ দিনে ভারতের ভাস্মর রায়সহ চট্টগ্রামের দিলীপ বড়–য়া, মাগুরার অনিল হাজারিকা, যশোরের বাঘারপাড়ার পপি সরকার, আশা, বিজন দেবনাথ ও ঝিকরগাছা বাঁকড়ার শিশু রাসেল সংগীত পরিবেশন করেন। তারা বিজয় সরকার, পাগলা কানাই, হাসন রাজা, জারি-সারিসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন। যশোরের উদীচী ও ঢাকার উদীচী সাপুড়িয়া, পাহাড়ী ও লোকনৃত্য পরিবেশন করে।
এছাড়া নড়াইলের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ যুব সংঘ বাংলার ঐতিহ্য লাঠি খেলা প্রদর্শন করে। শেষে নড়াইলের দিদারুল ও নিলুফা বয়াতির দল জারি গান পরিবেশন করেন।
আবহমান বাংলার মানুষের মাটির টানের প্রাণের গান শুনতে শুনতে ষাটোর্ধ্ব শ্রমজীবী জহুর আলী আবেগময় কন্ঠে বলে উঠলেন, ‘মনডা জুড়ায়া গেল’। এ সময় তিনি আরো বলেন, একটানা তিন দিন ধরে এমন গান অনেক কাল শোনা হয়নি।
এমন আবেগময় উচ্ছ্বাস নিয়ে একই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেছেন কলেজ পড়ুয়া আল মাছুম, সোহেল, কৃষ্ণেন্দু, ব্যবসায়ী সোহরাব, গৃহিনী রেবেকা খাতুন প্রমুখ।
উৎসবের সমাপনী দিনেও ভারতের খ্যাতনামা লোকসংগীত শিল্পী অংশুমান রায়ের ছেলে ভাস্মর রায় তার বাবার গাওয়া গান শুনিয়ে দর্শকশ্রোতাদের মাতিয়ে তোলেন। একে একে তিনি গেয়ে চলেন ‘দাদা পায়ে পড়িরে মেলা থেকে বউ এনে দে..’ এমন ধরনের বিখ্যাত প্রচলিত লোকসংগীত। গভীর রাত পর্যন্ত চলা গান মন্ত্রমুগ্ধের মত শোনেন মাঠ ভর্তি দর্শক।
এদিকে এ উৎসব সফল হওয়ায় যশোরবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন উৎসব পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ডি এম শাহিদুজ্জামান। তালুকদার গ্রুপের সহযোগিতায় উৎসবমুখর এমন অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে মাছরাঙা টেলিভিশন ও যশোরের সিটি ক্যাবল।
নিউজ সূত্রঃ গ্রামের কাগজ