
Home ভাষা ও সংস্কৃতি (Language and Culture) > মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহি কাত্যায়নী পুজাউৎসব ও মেলা - আবু বাসার আখন্দ
এই পৃষ্ঠাটি মোট 89662 বার পড়া হয়েছে
মাগুরায় শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহি কাত্যায়নী পুজাউৎসব ও মেলা - আবু বাসার আখন্দ
৬ষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে মাগুরায় মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহি কাত্যায়নি পূজা ও উৎসব। এ উপলক্ষে সারা শহর সেজেছে বর্ণিল রঙে। দুর্গাপূজা হিন্দু

প্রতি বছর দূর্গা পূজার ঠিক এক মাস পর বাংলাদেশের মধ্যে কেবল মাগুরাতেই এই কাত্যায়নী পূজার আয়োজন করা হয়। দাপর যুগে কোন এক হেমন্তের শুরুতে যমুনা নদীর তীরে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগে গোপবালা বৃন্দ কাত্যায়নী দেবীর আরাধনা করত। তারই অনুকরণে ১৯৫০ সালের দিকে মাগুরার পারনান্দুয়ালী এলাকায় প্রথম জাক জমকপূর্ণভাবে এ পূজা শুরু হয়। আর এ বছর মাগুরা শহর ছাড়াও জেলার ৭৭ মন্ডপে এ পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ষষ্ঠীর মধ্যে দিয়ে পূজা শুরু হলেও অষ্টমীর দিন থেকে আগমন ঘটবে দর্শনার্থিদের। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় উঠবে সারা শহর। সমাগম ঘটবে লক্ষ লক্ষ মানুষের। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে সামিল হবে পূজারিদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণীর দর্শনার্থিরা।
জামরুল তলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি পঙ্কজ কুন্ডু জানান, জেলা শহরের ৭টি মন্ডপে সবচেয়ে বেশি জাকজমকপূর্ণভাবে উদযাপিত হচ্ছে এই পূজা। এগুলো হচ্ছে ছানার বটতলা, নিজনান্দোয়ালী কালি বটতলা, নতুন বাজার,


ছানার বটতলা পুজা কমিটির সম্পাদক সুশিল কুমার দে বলেন, যেহেতু মাগুরার কাত্যায়নী পূজা এশিয়ার মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে সেহেতু আমাদের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। যে কারণে দর্শনার্থিদের কথা ভেবে আমাদের পূজা আয়োজনের ক্ষেত্রে বৈচিত্র রক্ষা করতে হয়। সেকারণে এবার গত বছরের তুলনায় ব্যয় বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুন।
তথ্যানুসন্ধ্যানে জানা যায়, ১৯৫০ সালে শহরে পারনান্দুয়ালী এলাকার জনৈক সতিশ মাঝি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম এ পূজা উৎসব শুরু করেন। পেশায় তিনি ছিলেন মুদি ব্যবসায়ী। তবে তার গোষ্ঠীর অধিকাংশ মানুষ মৎস্যজীবি হওয়ায় বিশেষ করে ভরা বর্ষা মৌসুমে পেশাগত কারণে বিভিন্ন নদীতে মাছ শিকারে যেত। যে কারণে এ সময়ে অনুষ্ঠিত দূর্গা পূজায় শরিক হওয়া তাদের জন্য দুরূহ হয়ে পড়ত। গোষ্ঠীগত মানুষের সুবিধার্থে তিনি

ধর্মীয় শাস্ত্রমতে দাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের আগে গোপবালাবৃন্দ তীরে শ্রীকৃষ্ণকে ঈশ্বর, বন্ধু, স্বামী, পুত্র হিসাবে আরাধনা করত। তাদের একমাসব্যাপী আরাধনা সেসময় কাত্যায়নী পূজা হিসেবে চিহ্নিত হত। যার সময়কাল ছিল কার্তিক ও অগ্রহায়ন মাস। প্রতিমা স্থাপনের ক্ষেত্রে দূর্গা পূজার আদলেই সবকিছু নির্মিত হত। তবে অতিরিক্ত হিসেবে দেবী দূর্গার কোলে শ্রীকৃষ্ণের একটি মূর্তি স্থাপন করা হত। যার অর্থ দেবী দূর্গার আরাধনার মাধ্যমে কৃষ্ণের সান্নিধ্য পাওয়া। যেটি মাগুরার কাত্যায়নী পূজার ধর্মীয় যোগসূত্র।
তথ্য সংগ্রহে:
আবু বাসার আখন্দ
সহ-সভাপতি
যশোর.ইনফো
সাংবাদিক, একুশে টেলিভিশন
মাগুরা।
মোবাইল: ০১৭১৬২৩২৯৬২