
Home ধর্ম-সাধক / Religion-saint > আলহাজ্ব মুন্সী মুহাম্মদ শামনুর (রঃ) / Alhaj Munshi Muhammad Samnur (Rh.) (1897-1978)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 86706 বার পড়া হয়েছে
আলহাজ্ব মুন্সী মুহাম্মদ শামনুর (রঃ) / Alhaj Munshi Muhammad Samnur (Rh.) (1897-1978)
আলহাজ্ব মুন্সী মুহাম্মদ শামনুর (রঃ)
Alhaj Munshi Muhammad Samnur (Rh.)
Home District: Jessore, Chowgacha
Alhaj Munshi Muhammad Samnur (Rh.)
Home District: Jessore, Chowgacha
১৮৯৭ সালে আলহাজ্ব মুন্সী মুহাম্মদ শামনুর (রঃ) যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার বাড়ীয়ালী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। মাতৃগর্ভে মাত্র সাতমাস তিনি সাতাশে ছিলেন। জন্মের দুদিন পর তাঁর চোখ ফোটে এবং প্রথম কয়েকদিন তাঁকে তুলার ভিতর রাখতে হয় বলে জানা যায়। তিনি নিজের চেষ্টায় সামান্য লেখাপড়া শিখেছিলেন। একাডেমিক কোন লেখাপড়া তিনি শিখতে পারেননি।
ছোটবেলায় তিনি রাখাল হিসেবে নিজেদের গরু ছাগল চরানোর কাজ করতেন। একদিন গরু-ছাগল চরানো অবস্থায় মাছ রাঙার পীর মাওলানা সামসুদ্দিন সাহেব তাঁক দেখে ভবিষৎ বাণী করেছিলেন যে, বালক শামনুর একজন বিশিষ্ট কামিল ব্যাক্তি হবেন। পরে সে ভবিষৎ বাণী খাঁটি হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি জীবনে দুটি মামলায় প্রধান আসামী হয়েছিলেন এবং দুটিতেই তিনি সম্মানের সাথে জিতে গিয়েছিলেন। তিনি পুজো মন্ডপের পাশে মসজিদ নির্মাণ করলে বাদানুবাদ শুরু হয় এবং গরু কোরবানী করলে তাঁর নামে যশোরে ‘গোহত্যা মামলা’ ঠুকে দেওয়া হয়। নলডাঙ্গার রাজবাড়ীতে মুন্সী শামনুরসহ তাঁর অপর তিন ভাইকে বেদম প্রহার করা হয়। অবশেষে এগার বছর মামলা চলার পর তিনি বিজয়ী হন। আর একবার রাতে মুন্সী সাহবের নেতৃত্বে দুমাইল দীর্ঘ কাচা রাস্তা তৈরি করা হলে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর গ্রামের লোক তাদের জমি নষ্ট হয়েছে বলে মামলা দায়ের করে। সাত বৎসর মামলা চলার পর মুন্সী সাহেব জয়ী হন। রাস্তাটি বর্তমানে আরো প্রশস্ত হয়ে মুন্সী সাহেবের স্মরণ করিতেছে।
১৯৭১ সালে তিনি হজ্ব করতে মক্কাশরীফে গমন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি বাড়িয়ালীর পীর সাহেব নামে পরিচিত। যশোর সদর, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, শার্শা, কালিগঞ্জ ও মহেশপুর এলাকার তাঁর প্রচুর মুরিদান রয়েছে।
সম্পাদনা:
হাবিব ইবনে মোস্তফা
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
শামিউল আমিন শান্ত
সর্বশেষ আপডেট:
২০.০৫.১১
ছোটবেলায় তিনি রাখাল হিসেবে নিজেদের গরু ছাগল চরানোর কাজ করতেন। একদিন গরু-ছাগল চরানো অবস্থায় মাছ রাঙার পীর মাওলানা সামসুদ্দিন সাহেব তাঁক দেখে ভবিষৎ বাণী করেছিলেন যে, বালক শামনুর একজন বিশিষ্ট কামিল ব্যাক্তি হবেন। পরে সে ভবিষৎ বাণী খাঁটি হিসেবেই প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি জীবনে দুটি মামলায় প্রধান আসামী হয়েছিলেন এবং দুটিতেই তিনি সম্মানের সাথে জিতে গিয়েছিলেন। তিনি পুজো মন্ডপের পাশে মসজিদ নির্মাণ করলে বাদানুবাদ শুরু হয় এবং গরু কোরবানী করলে তাঁর নামে যশোরে ‘গোহত্যা মামলা’ ঠুকে দেওয়া হয়। নলডাঙ্গার রাজবাড়ীতে মুন্সী শামনুরসহ তাঁর অপর তিন ভাইকে বেদম প্রহার করা হয়। অবশেষে এগার বছর মামলা চলার পর তিনি বিজয়ী হন। আর একবার রাতে মুন্সী সাহবের নেতৃত্বে দুমাইল দীর্ঘ কাচা রাস্তা তৈরি করা হলে পার্শ্ববর্তী উজিরপুর গ্রামের লোক তাদের জমি নষ্ট হয়েছে বলে মামলা দায়ের করে। সাত বৎসর মামলা চলার পর মুন্সী সাহেব জয়ী হন। রাস্তাটি বর্তমানে আরো প্রশস্ত হয়ে মুন্সী সাহেবের স্মরণ করিতেছে।
১৯৭১ সালে তিনি হজ্ব করতে মক্কাশরীফে গমন করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি ইন্তেকাল করেন। তিনি বাড়িয়ালীর পীর সাহেব নামে পরিচিত। যশোর সদর, ঝিকরগাছা, চৌগাছা, শার্শা, কালিগঞ্জ ও মহেশপুর এলাকার তাঁর প্রচুর মুরিদান রয়েছে।
সম্পাদনা:
হাবিব ইবনে মোস্তফা
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল
শামিউল আমিন শান্ত
সর্বশেষ আপডেট:
২০.০৫.১১