
Home ঝিনাইদহ জেলা / Jhenidah District > নুরুননেহার মহিলা কলেজ, ঝিনাইদহ (১৯৮৫)
এই পৃষ্ঠাটি মোট 91373 বার পড়া হয়েছে
নুরুননেহার মহিলা কলেজ, ঝিনাইদহ (১৯৮৫)
ঝিনাইদহে নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং প্রসার কল্পে স্থানীয় বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিবর্গ ১/৭/৮৫ ইং তারিখে জেলা প্রশাসক ঝিনাইদহের সম্মেলন কক্ষে এক সাধারণ সভায় মিলিত হয়ে ঝিনাইদহ সদরে মহিলা কলেজ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ঝিনাইদহের বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের অন্যতম মরহুম নুরুননবী সিদ্দিকীর দানকৃত নিজস্ব বৃহৎ দ্বিতল বাস ভবন ‘নেহার লজ’-এ মহিলা কলেজের প্রথম শ্রেণী কার্যক্রম শুরু হয়। তাঁর এই মহৎ দানে সন্তুষ্ট হয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কলেজটি তাঁর মরহুমা স্ত্রী নুরুননেহার এর নামে কলেজটির নামকরণ করেন, “নুরুননেহার মহিলা কলেজ”। দাতা মরহুম নুরুন নবী সিদ্দিকী অচিরেই উক্ত মূল্যবান ভবনটি প্রস্তাবিত কলেজের অনুকুলে রেজিষ্ট্রি করে দেন। ৪/৭/৮৫ ইং তারিখে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মোঃ গোলাম মর্তুজা কলেজটির আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পান মোঃ আব্বাস উদ্দীন।
১৯৮৬ সালে কলেজটি রাষ্ট্রপতি হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ কর্তৃক প্রতিশ্রুত দশ লক্ষ টাকা অনুদান হিসাবে লাভ করে। কলেজটি ১৯৮৬ সালে সর্ব প্রথম যশোর শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন পায়। ২/৮/৮৭ ইং তারিখে কলেজের বিজ্ঞান প্রকল্পের জন্য নুরে আলম সিদ্দিকীর সহযোগিতায় মোঃ আবদুল হক (ঢাকা) এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা কলেজকে দান করেন। পরবর্তীতে কলেজটিকে পরিসস্ত পরিবেশে বর্তমান স্থানে স্থানান্তরিত করা হয়। ৩’৩১ একর জমির উপর অবস্থিত কলেজটির ১৬ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন আছে। কলেজটি ঝিনাইদহ জেলার নারী শিক্ষার একমাত্র আদর্শ বিদ্যাপীঠ।
তথ্য সূত্র:
শিক্ষালয়ের ইতিকথা
লেখক: অধ্যাপক কাজী শওকত শাহী
সম্পাদনা:
শামিউল আমিন (শান্ত)
মোঃ হাসানূজ্জামান বিপুল